কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিরতি’ জল্পনার মধ্যেই টুইস্ট। সূত্রের খবর, অভিষেকের নিশানায় এবার মন্ত্রী ও পুরপ্রধানদের একাংশ। সূত্রের খবর, অভিষেক ঘনিষ্ঠ মহলে বার্তা দিয়েছেন, কাজ করুন, না হলে পদ ছাড়ুন।
‘ছোট্ট বিরতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটের শেষার্ধে এই শব্দবন্ধ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য সংগঠনের কাজ থেকে ছোট বিরতি নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু তাই নিয়েই জল্পনা ছড়ায়। কারণ এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন। আগে কখনও সংগঠনের কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার কথা এভাবে ‘ঘোষণা’ করেননি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যদিও ‘ছুটি’র ব্যাখ্যা হিসাবে অভিষেক জানিয়েছেন, জনগণের সুবিধা-অসুবিধা এবং চাহিদার কথা আরও ভাল ভাবে বোঝার জন্য এই সময় কাজে লাগাবেন তিনি।
রাজনীতির কারবারিরা জানাচ্ছেন, নির্বাচনের আগে ছ’মাস কার্যত নানারকম কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন ‘অসন্তুষ্ট’ অভিষেক। লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি সক্রিয় হয়েছিলেন। দলের প্রয়োজনের ছুটে গিয়েছেন সর্বত্র। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এক সঙ্গে সামনে এসেছে দলের সাফল্য উদযাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এসবের পরই অভিষেকের আরেকটা টুইটে জল্পনা চড়েছে, নতুন করে কি তবে পুরনো অসন্তোষ মাথা চাড়া দিয়ে উঠল?
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তখনই জানা গিয়েছিল, প্রশাসনিক কাজ নিয়েও কিছুটা অসন্তুষ্ট রয়েছেন অভিষেক। অভিষেকের টুইটের শেষার্ধে উল্লেখ ছিল, সরকার যেন দ্রুত গতিতে প্রশাসনিকভাবে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন করে, এই আশা তিনি রাখছেন। প্রশাসনের একাংশের কাজ নিয়ে তিনি যে অখুশি, তা কিছুটা আভাসও মিলেছিল।
অভিষেক ঘনিষ্ঠ মহল বলছেন, পৌরসভার প্রশাসনিক কাজ নিয়ে অখুশি অভিষেক। ২০২৬ সালে পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে। সূত্রের খবর, অভিষেক বেশ কয়েকজন মেয়র ও পুরপ্রধানদের কাজ নিয়েও অসন্তুষ্ট রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাঁর স্পষ্ট বার্তা হয় কাজ করুন, না হলে পদ থেকে সরে যান। যদিও অভিষেকের এই বার্তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার গুরুত্ব তো পিসিমনিও দেননি। ওঁ নব্য তৃণমূল গড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। দলে সেই পুরনোরাই রয়ে গিয়েছেন। তাই যাঁর কথার গুরুত্ব পরিবারের সদস্যরাই দেন না, তাঁর কথা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।”