
কলকাতা: তাঁদের মধ্যে নাকি অহিনকুল সম্পর্ক। তৃণমূলের মধ্যে নাকি একে অপরকে খুব একটা পছন্দ করেন না। এমন কথাই শোনা যায় রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে। কিন্তু সেই সকল জল্পনায় জল ঢেলে সোমবার কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সামিল হলেন ইদের ‘সেলিব্রেশনে’।
এ দিন ববি হাকিমের বাড়িতে অভিষেক ছাড়াও ইদের উজ্জাপনে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সি। তবে বলার অপেক্ষা রাখে না অভিষেকের উপস্থিতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এক তো অভিষেককে সব ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় না। দ্বিতীয়ত, তথা কথিত ‘নবীন প্রবীণ’ দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে সোমবারের উপস্থিতি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
ফিরহাদের বাড়িতে অভিষেক
সম্পর্কের ‘মেঘ’
কলকাতা পুরসভার পারফরমেন্সে যে অভিষেক খুশি নন তা তাঁরই ঘনিষ্ঠরা দাবি করেছিলেন সে সময়ে। কখনও আবার পার্কিং ইস্যু নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল অভিষেক ঘনিষ্ঠদের। আবার কখনও একাধিক ব্যক্তির হাতে অনেক দফতরের দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূল ‘সেনাপতি’কে বলে দাবি তাঁর নিকটে থাকা একাংশদের। এমনকী, মেয়রের একান্ত সচিবের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা নিয়েও চাপানউতর ওঠে চরমে। অনেকেই সে সময় ব্যাখা করেছিলেন অভিষেক-ববির সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে। তবে সরাসরি এই বিষয়ে দুই নেতার কাউকেই মুখ খুলতে দেখা যায়নি। তার উপর আবার তৃণমূলের প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব! যা নিয়ে দলের তাবড় নেতারা সরাসরি মুখ না খুললেও বিভিন্ন সময়ে এই বিতর্ক সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। এই আবহে ফিরহাদের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মানছে রাজনৈতিক মহল।
বছর ঘুরলেই ছাব্বিশের মহারণ। তার কয়েক মাস আগেই এবার কি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ‘হাম সব সাথ হ্যায়’ এই বিজ্ঞাপনী তুলে ধরতে চাইছে? এমনই জল্পনা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।