
নয়াদিল্লি: উপদলীয় কাজ নিয়ে কড়া বার্তা অভিষেকের। কী ভিত্তিতে কমিটি গঠন হচ্ছে? কারা গঠন করছে? সব দিকেই নজরদারি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের। সোমবার ক্যামাক স্ট্রিটে উত্তর দিনাজপুর, বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদের জেলার সাংগঠনিক নেতৃত্বদের নিয়ে বসেছিল বৈঠক। চলতি মাসের শুরু থেকেই যে জেলাওয়াড়ি সাংগঠনিক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক। আর এদিনের বৈঠকও সেই ‘দলীয়-হিন্দোলের’ নজির মাত্র।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন তিন জেলার মোট দশ বিধায়ক। এছাড়াও, ক্যামাক স্ট্রিট থেকে ডাকা হয়েছিল জেলা সভাপতি ও শীর্ষ স্তরের নেতৃত্বদেরও। এই ডাক পাওয়াদের মধ্যে ছিলেন ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও।
অভিষেকের বৈঠকে আলোচনার অভিমুখ কোন দিকে?
সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুরের নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে দলে নিজের লোক নিয়ে কমিটি গঠনে কড়া অভিষেক। সাফ নির্দেশ, কমিটি গঠন করা হলে, তা তৈরি করবে শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়াও যে সকল নেতারা কোনও বিতর্ক বা মামলায় অভিযুক্ত তাদের কোনও জেলা কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। উল্টে দলের প্রতি যারা দায়বদ্ধ, তেমন নেতাদেরই সামনে এগিয়ে নিয়ে আসার বার্তা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গতবছরের লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্র্রে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। সেই নিয়ে দলের মধ্যে একটা বিড়ম্বনা ছিলই। কারণ, ওই লোকসভার অধীনে থাক সাতটি বিধানসভা এলাকার ছ’টিতেই জিতেছিল তৃণমূল। তারপরেও কেন হার, তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আগেও প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন জেলা নেতৃত্বরা। সোমবার আয়োজিত বৈঠকে সেই কথাই শোনা যায় অভিষেকের মুখে।
সূত্রের খবর, রায়গঞ্জের ফলাফল নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সেখানে কার্যত রদবদলের কথাই ভাবছেন তিনি। জানা গিয়েছে, বৈঠকে রায়গঞ্জের ব্লক সভাপতি, টাউন সভাপতি, ছাত্র যুবস্তরে পরিবর্তনের কথা ভাবছে শীর্ষ নেতৃত্ব।