কলকাতা: সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে নিজাম প্যালেসে সিবিআই (CBI) অফিস থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সাফ জানিয়ে দিলেন, তদন্তকারী সংস্থা যা জানতে চেয়েছে, সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমি কোনওদিন দেখিইনি, চিনিই না… আমার ফোনে কথাও হয়নি।’ অভিষেকের বক্তব্য, সেদিন শহীদ মিনারের সভামঞ্চ থেকে তিনি কোথাও কুন্তল ঘোষের নাম নেননি। বললেন, ‘২৯ মার্চ শহীদ মিনার ময়দানে যে বক্তব্য রেখেছিলাম, কোথাও কুন্তল ঘোষের নাম নিইনি। অনেকেই তো গ্রেফতার হয়েছেন। আমি তো কারও নাম নিই। আমি কি একবারও বলেছি কুন্তলকে চাপ দেওয়া হয়েছে? আমি বলেছি, মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষের সঙ্গে এই কাজ করা হয়েছে। তাঁরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর, হেফাজতে থাকাকালীন তাঁদের অভিজ্ঞতা আমাকে জানিয়েছেন। সেই ভিত্তিতে আমি বলেছি।’
নিজাম থেকে বেরিয়ে এদিন শুরু থেকেই রণংদেহি মেজাজে অভিষেক। ইডি-সিবিআই যে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করে, তা একের পর এক আক্রমণে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। অভিষেক বললেন, ‘বলা হচ্ছে, আমি শহীদ মিনারে বক্তব্য রেখেছিলাম। সেখান থেকে কুন্তল ঘোষ ক্লু পেয়ে আমার নাম নিয়েছে। তাহলে তো অমিত শাহ নিজে স্বীকার করেছেন, তাঁকে মোদীর নাম নিতে বলেছে সিবিআই।’
এর আগেও একাধিকবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে বার বার ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিষেককে। কখনও দিল্লিতে, কখনও কলকাতার অফিসে। আর এবার সিবিআই ডেকে পাঠানো অভিষেককে। কিন্তু অভিষেকের বক্তব্য, সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ‘নির্যাস শূন্য’। বললেন, ‘প্রথম দিন থেকে এদের টার্গেট হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে ইডি-সিবিআই দিয়ে ধমকে চমকে আমাকে দমিয়ে রাখা যায়, সেই চেষ্টা করছে।’ তাঁর ৬০ দিন ব্যাপী তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিকে বাধা দিতেই এইভাবে ডেকে পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি অভিষেকের।