
কলকাতা: বীরভূমের ঘুঁটি ওলট-পালট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে সাজালেন নিজের মতো করে। গুরুত্ব পেলেন জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ভোটে বীরভূমের জমি কীভাবে ধরে রাখতে হবে, সেই বার্তাও দিলেন দলীয় নেতাদের। সামনে বসে মন দিয়ে প্রত্যেকে শুনলেন সে সব। কেষ্ট মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে ওই জেলার গুরুত্ব যে ঘাসফুল শিবিরের কাছে বেশি সেটা আগেও বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অথচ এমন একটা বৈঠকে দেখাই গেল না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের সংগঠন নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মমতা। দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন অভিষেক। কিন্তু বীরভূমের বৈঠকে গরহাজির তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, অভিষেক কোথায়? বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। শতাব্দী জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন অভিষেক খুবই ব্যস্ত। অনেক সই-সাবুদ করার আছে, তাই তিনি বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। সূত্রের খবর, এদিন ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়েছেন অভিষেক। তবে ঠিক কীসের সই-সাবুদ তাঁর করার আছে, তা স্পষ্ট করে জানাননি কেউ।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ বলছেন, বীরভূমের বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকজন গুরুত্ব পাবেন আভাস পেয়েই কি অভিষেক অনুপস্থিত? আবার একাংশ বলছেন, ক্যামাক স্ট্রিটে নিজের অফিসে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। সেই কারণেই অনুপস্থিত তিনি। উল্লেখ্য, আগের দুটি বৈঠকে ছিলেন অভিষেক, ছিলেন সোমবারের সংহতি যাত্রাতেও।
এদিনের বৈঠকে মূলত সংগঠন ঢেলে সাজিয়েছেন মমতা। বীরভূমের দায়িত্ব নিজের হাতে রেখে ৫ জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। বিধানসভা কেন্দ্র হিসেবে নেতাদের দায়িত্বও বুঝিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি, মমতা বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে বেরলে তাঁকে পুরনো জায়গা ফিরিয়ে দিতে হবে।