
কলকাতা: এসআইআর আবহে বৈঠক সারলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতা-মন্ত্রী সহ সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ২৪,০০০ সদস্য। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে রীতিমতো ক্লাস নেন অভিষেক। বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর কাজে কোন নেতা এগিয়ে, কে পিছিয়ে, কে কাজ করছেন, কে করছেন না, সব বলে দিয়েছেন তিনি। যাঁরা অভিষেকের কাছে ভাল নম্বর পাননি, তাঁদের রীতিমতো বার্তা দিয়েছেন অভিষেক।
এসআইআর-এ একদিকে যেমন নির্বাচন কমিশন অনলাইনে তথ্য আপলোড করছেন, তেমনই বিএলএ ২ হিসেবে কাজ করা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁরাও যাতে অ্যাপে তথ্য আপলোড করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘দিদির দূত’ নামে যে অ্যাপ আছে, তাতেই কাজের তথ্য আপলোড করবেন বিএলএ-২ রা। কিন্তু সেই তথ্য সবাই ঠিকমতো আপডেট করছেন না বলে অভিযোগ অভিষেকের। সেই নিরিখেই অভিষেক বলে দিলেন, কার বিধানসভা কেন্দ্র এগিয়ে, কার পিছিয়ে।
সূত্রের খবর, অভিষেকের বিচারে ভাল নম্বর পেয়েছেন হরিপাল ও ধনেখালির বিধায়ক অর্থাৎ অসীমা পাত্র ও বেচারাম মান্না। কিন্তু ৮টি বিধানসভার কাজে খুব একটা সন্তুষ্ট নন অভিষেক। ৮টির মধ্যে ৬টিই কলকাতার। সেই তালিকায় আছে, বালিগঞ্জ, বনগাঁ দক্ষিণ, বেলেঘাটা, এন্টালি, মধ্যমগ্রাম, কলকাতা পোর্ট, কাশীপুর ও চৌরঙ্গী। অর্থাৎ বাবুল সুপ্রিয়, ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন ঘোষদের বিধানসভার কাজ নিয়েই অসন্তুষ্ট অভিষেক।
এছাড়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও ওই বৈঠক থেকে নেতাদের বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। আলাদাভাবে নাম নিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির কথা। সূত্রের খবর, দুজনের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অভিষেক বার্তা দিয়েছেন, ‘মানুষ কিন্তু ছেড়ে দেবে না। মানুষের ভোটে অনেক কষ্ট করে জিততে হয়।’
এছাড়া, এসআইআর ইস্যুতে যখন দল বারবার মানুষের পাশে থাকার কথা বলছে, তখনও যে সব নেতা-বিধায়করা সেই কাজ করছেন না, তাঁদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সেই তালিকায় নাম তুলেছেন, মনোরঞ্জন ব্যাপারি ও কাঞ্চন মল্লিক। তৃণমূল এসআইআর-এর জন্য যে ক্যাম্প তৈরি করেছে, সেখানে নিয়মিত না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিষেক। ভোটের আগে কারও কোনও গাফিলতি যে বরদাস্ত করা হবে না, তা এদিন একরকম বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।
এ ব্যাপারে কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ক্যাম্পে যাচ্ছি। ছবিও ফেসবুকে আপলোড করেছি। ঘন ঘন যেতে হবে বলে জানা নেই। নির্দেশ পেলে আরও বেশি করে যেতে হবে।” মনোরঞ্জন ব্যাপারিও বলেন, “দলের নির্দেশ মতো আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।”