কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ওএমআর শিটে কারচুপির বিষয়টি নজরে এসেছে সিবিআই-এর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল মনে করছে, ওএমআর শিটে কারচুরি দুর্নীতির অংশ। তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। সেই তদন্তের অংশ হিসাবে নাইসার অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সেখান থেকে অনেক ওএমআর ও তথ্য মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। নাইসার সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাসকেও শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বার নীলাদ্রি সম্পর্ক আরও তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, নীলাদ্রি দিল্লিতে থাকলেও তিনি আদপে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরাহনগরের বাসিন্দা। ২০০২ সালে তিনি দিল্লিতে যান। তার পর থেকে সেখানেই পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন।
এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গেও নীলাদ্রির যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূ্ত্রে খবর, সুবীরেশের সঙ্গেই প্রথমে যোগাযোগ হয়েছিল নীলাদ্রির। পরবর্তী কালে এসএসসি-র একাধিক কর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় নীলাদ্রির। ক্রমেই এসএসসির অন্দরের খবর আসতে শুরু করে নীলাদ্রির কাছে। এসএসসি-র গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগেও ওএমআর কারচুপি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। প্রায় ৮ হাজার ওএমআর শিট বিকৃতির অভিযোগ রয়েছে নীলাদ্রি ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে।
CBI সূত্রে খবর, OMR শিটে কারচুপি করার জন্য নীলাদ্রির সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রায় ১ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। এই কারচুপির কাজডে নীলাদ্রির বেশ কয়েক জন সহযোগী ছিল বলেও খবর। এ রকম বেশ কয়েক জনের নাম এসেছে সিবিআই-এর হাতে। নীলাদ্রিকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। এ রকম ব্যক্তিদের তালিকাও তৈরি করেছে সিবিআই। আগামী দিনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডাকা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। শনিবারই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নীলাদ্রির এক সহযোগীকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কলকাতার নিজার প্যালেসে সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে নীলাদ্রি ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তিকে। সেখানেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।