কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ঝাঁ চকচকে শপিং মহল অ্যাক্রোপলিস। নামী ব্র্যান্ডের শোরুম, রেস্তোরাঁ তো আছেই, বহুতলের উপরের দিকে রয়েছে একাধিক অফিস। চারতলা পর্যন্ত রয়েছে শপিং মল, আর তার উপরে একাধিক অফিসে কাজ করেন বহু কর্মী। শুক্রবার সকালে আগুন লেগে যাওয়ার পর নামতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েন সেই কর্মীরা।
১৮, ১৯ বা ২২ তলা থেকে কর্মীদের নামার একটাই বিকল্প রাস্তা ছিল, তা হল সিঁড়ি। আগুনের জন্য লিফট বন্ধ হয়ে গেলে এটাই একমাত্র পথ। আর সেই পথের অর্ধেকটাই ভরা আবর্জনায়! উপস্থিত কর্মীরা জানিয়েছেন, সিঁড়ি জুড়ে পড়ে রয়েছে সিমেন্টের বস্তা থেকে অ্যাসিডের বোতল। আর সেখান থেকেই এদিন নামার চেষ্টা করেন প্রায় হাজার দেড়েক মানুষ। প্রত্যেকেই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন, তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই।
এক ব্যক্তি জানান, ১৮ তলা থেকে নামার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা। সহকর্মীরা তাঁকে ট্যাক্সিতে চাপিয়ে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া আটকে পড়েছিলেন দুই প্রতিবন্ধীও। প্রত্যেকেই মল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
সাততলার অফিস থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে বেরন বেসরকারি সংস্থার মালিক অজয় আগরওয়াল। সেই সকল কর্মীদের মধ্যেই ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা মমতা সাহু। অজয় আগরওয়াল জানিয়েছেন, অন্ধকার সিঁড়ির মধ্যে পড়েছিল লোহার রড, সিমেন্টের বস্তা, আবর্জনা। সে সব টপকে হাজার খানেক মানুষের স্রোত সিঁড়ি দিয়ে নামে।। সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর অফিসের কর্মী মমতা। অজয় নিজেও লোহার রডে আঘাত পেতে পেতে বেঁচে যান। TV9 বাংলায় সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে অজয়। তবে মল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও, তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি।