AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC VS CONGRESS: তবে কি চব্বিশের লড়াইয়ে কংগ্রেস-তৃণমূলেরও জোর টক্কর? অধীর-কুণালের মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা

Mamata Banerjee: ভবানীপুরে মমতার রেকর্ড জয়ের পরও চুপ থেকেছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা।

TMC VS CONGRESS: তবে কি চব্বিশের লড়াইয়ে কংগ্রেস-তৃণমূলেরও জোর টক্কর? অধীর-কুণালের মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা
ভবানীপুরের পর তৃণমূলের লক্ষ্য ভারতবর্ষ। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 7:55 AM
Share

কলকাতা: ভবানীপুরের পর তৃণমূলের (Trinamool Congress) লক্ষ্য ভারতবর্ষ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হঠিয়ে দিল্লি দখলই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের টার্গেট। বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার নিচে এনে এই লড়াই চলবে। তবে যত শক্তিই একত্রিত হোক না কেন, তৃণমূলই যে সে যুদ্ধে নেতা, এ নিয়ে কোনও রাখঢাক রাখছে না জোড়াফুল শিবির। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা। আর সেই শক্তি বাড়াতে গিয়ে কংগ্রেসের (Congress) একের পর এক নেতাকে দলে টানছে তৃণমূল। যা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেও চাপা ক্ষোভ। অবশ্য অধীর চৌধুরীর কথায় তা আর চাপা নেই। অধীরের কথায়, ‘বিরোধী জোটকে পিছন থেকে কে ছোরা মারছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

ভবানীপুরে মমতার রেকর্ড জয়ের পরও চুপ থেকেছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা। টুইটারে যখন বিভিন্ন রাজনৈতির দলের নেতারা মমতার জয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, গান্ধী পরিবার থেকে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। এরই মধ্যে অধীর চৌধুরী দাবি করেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে হাত ধরে নিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বিরোধী জোটের পিছন থেকে ছোরা মারছেন কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার লাভ করছে? মোদীর। ওনার যাঁরা পছন্দের রাজনীতিবিদ আছেন, তাঁর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বেশি পছন্দের কেউ রয়েছে বলে আমি তো মনে করি না। কারণ, বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধতায় বিজেপির যখন বিপদ বোঝা যাচ্ছে, তখন বিরোধী জোটকে ভেঙে দিতে সবথেকে অগ্রসর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

ভবানীপুরে রেকর্ড জয়ের সত্যিই কি বিরোধীদের প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কংগ্রেস এ নিয়ে কী ভাবছে? এখনও অবধি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর তরফে মমতার কাছে কোনও শুভেচ্ছাবার্তা আসেনি। টুইট করেননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কিংবা রাহুল গান্ধীও। অন্যদিকে রবিবারই, যেদিন ভবানীপুরে মমতার জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল, সেদিনই বড় ধাক্কা খেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় প্ল্যান। মেঘালয়ের সেই মুকুল সাংমা যাঁর সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে বলে জোর জল্পনা, তিনিই বৈঠক করলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ছবিও টুইট করে একটা স্পষ্ট বার্তা দিলেন, তিনিও আছেন কংগ্রেসেই।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, চব্বিশের লড়াইয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই দলই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে ঠিকই। তবে একই সঙ্গে তাদের দেখা যাবে পারস্পরিক টক্করে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “কংগ্রেস কি কচি খোকা নাকি? কংগ্রেসের কাউকে আয় বাবা কোলে আয় বলল, আর কোলে নিয়ে চলে এলো? আগে উনি (অধীর চৌধুরী) ঠিক করুন শূন্যে নামলেন কী করে। ওনারা দলটাকে শূন্যে নামিয়েছেন। আর যত কথা বলবেন, মহাশূন্যের দিকে এগোবেন। তৃণমূল কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীকে শ্রদ্ধা করে। তৃণমূল কংগ্রেস কখনও মনে করে না, ‘আমরা কংগ্রেসকে অসম্মান করছি, বাদ দিয়ে জোটের কথা বলছি’। কিন্তু কংগ্রেসকে তো বুঝতে হবে, ২০১৪, ২০১৯ কেউ তো বাধা দেয়নি ওদের। তা হলে কংগ্রেসের মধ্যে কেন গন্ডগোল চলছে। এর সুবিধা তো বিজেপি পাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, এটা হতে দেওয়া যাবে না।”