কলকাতা: যাদবপুরের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুতে রহস্য যখন ক্রমেই ঘনাচ্ছে তখনই নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর মিলল বেহালার (Behala) পর্ণশ্রী থানা এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। রাতে দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে মৃত্যুতে আত্মহত্য়ার তত্ত্ব জোরালো হলেও ময়নাতদন্তের পরেই সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। মৃতের নাম পালবনি মণ্ডল। বয়স ১৪।
ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া তার গোটা পরিবারে। সূত্রের খবর, ছাত্রীটি বেশিরভাগ সময় তার দিদার কাছে থেকেই পড়াশোনা করতো। দিদার বাড়ি পর্ণশী থানা এলাকার নরেশ বিশ্বাস সরণীতে। কাছেই মা থাকতো কালচার মাঠের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে। সেখানেও মাঝেমাঝে গিয়ে থাকতো মেয়েটি। কর্মসূত্রে বাবা থাকে ভিন রাজ্যে। বুধবার রাতেও মেয়েটি ছিল দিদার কাছেই। সূত্রের খবর, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি দিদা। তাতেই তাঁর সন্দেহ হয়। দরজা ধাক্কা দিয়েও কোনও লাভ না হয় তিনি পাড়া-প্রতিবেশীদের ডাকেন। ভেঙে ফেলা হয় দরজা।
দরজা ভাঙতেই চোখ কপালে উঠে য়ায় সকলের। দেখা যায় সিলিংয়ের একটি রড থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে ওই নাবালিকা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, স্কুলে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকতো ছাত্রীটি। স্কুলে যাওয়ার নাম করে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াত। সে কারণেই প্রায়শই বকাবকি করতো মা। সেই অভিমানেই মেয়েটি আত্মহত্য়া করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।