কলকাতা: এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ১ হাজার দিনে পড়েছে শনিবার। এদিনই ধর্মতলায় চোখ কপালে ওঠার মতো ঘটনা ঘটান ‘শিক্ষিত বেকার’ রাসমণি পাত্র। চাকরিপ্রার্থী এই যুবতী নাপিত ডেকে এনে তাঁর এক ঢাল চুল কেটে মুহূর্তে উড়িয়ে দেন। মাথা কামিয়ে একেবারে ন্যাড়া! বলেন, যোগ্য হয়েও চাকরি পাননি, এটাই তাঁর প্রতিবাদ। চাকরির দাবিতে বহু প্রতিবাদই দেখা গিয়েছে, তবে এমন প্রতিবাদ নজিরবিহীনই বটে। সোমবার বিকাশ ভবনে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের যে বৈঠক হল সেখানে ছিলেন রাসমণি। ক্লান্ত চেহারা, শ্রান্ত কণ্ঠ। তবে সোমবারের বৈঠক শেষে টিভিনাইন বাংলাকে রাসমণি জানালেন, ‘বৈঠক সন্তোষজনক’।
এর আগেও তো এমন বৈঠক চাকরিপ্রার্থীরা করেছেন। তারপরও তো সমাধান সূত্র অধরাই থেকে গিয়েছে। তারপরও তো পথেই বসে থাকতে হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। তাহলে এই বৈঠকে ঠিক কোন পথে এল আশার আলো? রাসমণির কথায়, “আজকের বৈঠক খুবই ইতিবাচক। কারণ এর আগে শিক্ষা দফতর, সরকারি আধিকারিক বা এসব ক্ষেত্রে সমন্বয়ের যে অভাব ছিল, তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। সমস্যাগুলি নিয়েও কথা হয়েছে। সমাধানসূত্র বের করবেন বলেই জানিয়েছেন। ওনারা দ্রুততার সঙ্গেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।”
রাসমণি জানান, ১৪ তারিখ সুপার নিউমেরারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি আছে সুপ্রিম কোর্টে। এরপরই ২২ তারিখ আবার বসবেন শিক্ষামন্ত্রী। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্তের পথে হাঁটবে। আর সেই পথ নতুন আলো নিয়ে আসবে বলেই আশাবাদী তিনি।