‘সীতারামনের ভাষণের সময় কীভাবে বলার সুযোগ পেলেন দীনেশ’, তদন্তের দাবি তৃণমূলের

গত শুক্রবারই রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে পদত্যাগের ঘোষণা করেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। বলেন, “এখানে থেকে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না, দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমি অন্তরাত্মার ডাক অনুসরণ করে এগোচ্ছি। আমার মতে কাজ না করার থেকে পদত্যাগ করাই শ্রেয়।"

'সীতারামনের ভাষণের সময় কীভাবে বলার সুযোগ পেলেন দীনেশ', তদন্তের দাবি তৃণমূলের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 14, 2021 | 3:00 PM

কলকাতা: রাজ্যসভার কক্ষে দাঁড়িয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ কতটা সংবিধানসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূলের সংসদীয় দল। এ নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। সেই চিঠিতে কতগুলি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার কথাই ছিল না। উল্টে সেদিন রাজ্যসভার গ্যালারিতে বসার কথা ছিল তাঁর।

চিঠির একদম শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যসভায় যে বাজেট আলোচনা পর্ব শুরু হয় সেখানে ১১ ও ১২ তারিখে যথাক্রমে বক্তব্য রাখার কথা ছিল সুখেন্দুশেখর রায় ও আবীররঞ্জন বিশ্বাসের। তৃণমূলের দাবি, যে দলের প্রতিনিধি বলবেন সে দলই ঠিক করে দেয় কে বা কারা বক্তা। সেদিন কোনওভাবেই দীনেশ ত্রিবেদীর বলার কথা ছিল না। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল দীনেশের নামই দেয়নি।

চিঠিতেই লেখা হয়েছে, ১২ তারিখ বেলা ১টা ২৫ থেকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট নিয়ে জবাবি ভাষণ ছিল। এরইমধ্যে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগ করলেন, চার মিনিট বক্তব্য রাখলেন (১টা ২৫ থেকে ১টা ২৯ পর্যন্ত)। অথচ তাঁর নাম তৃণমূলের তরফে প্রস্তাবই করা হয়নি।

তৃণমূলের প্রশ্ন, এই সুযোগটা দীনেশ ত্রিবেদী কীভাবে পেলেন। সংসদীয় রীতি অনুযায়ী, বক্তা তালিকায় নাম না থাকলে কেউ এভাবে সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে পারেন না। তৃণমূল মনে করছে, এর পিছনে কোনও চক্রান্ত থেকে থাকতে পারে। যাতে তাদের দলকে হেনস্তা করা যায়। এটা পূর্ব পরিকল্পিত।

 

এই চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, দীনেশ ত্রিবেদীর সেদিন রাজ্যসভার গ্যালারিতে বসার কথা ছিল। তারপরও কোনও বাধা ছাড়াই তিনি কীভাবে কাউন্সিল চেম্বারে পৌঁছলেন, পছন্দমত আসনে বসলেন, এমনকী উঠে দাঁড়িয়ে সংসদে বলতেও শুরু করে দিলেন। তিনি যখন দল বিরোধী কথা বলছেন বাধাও দেওয়া হল না। এগুলি সবই সংসদীয় আইন বহির্ভূত বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। তারা এই ঘটনার যথাযথ দাবি করেছে। যদিও এ প্রসঙ্গে মুকুল রায়ের বক্তব্য, এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে পদত্যাগের ঘোষণা করেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি বলেন, “এখানে থেকে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না, দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমি অন্তরাত্মার ডাক অনুসরণ করে এগোচ্ছি। আমার মতে কাজ না করার থেকে পদত্যাগ করাই শ্রেয়।”