আগের চাকরি না দিয়েই নতুন নিয়োগ! আলিপুর চিড়িয়াখানার গেটে পড়ল তালা, ঘেরাও ডিরেক্টর

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Dec 04, 2020 | 3:38 PM

অন্যান্য দিনের মতো এদিনও আলিপুর চিড়িয়াখানার (Alipur Zoo) সামলে ভিড় জমিয়েছিলেন শহর ও শহরতলির বাসিন্দারা। প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে ঢুকতে দেওয়া হলেও বেলা একটু বাড়তেই চিড়িয়াখানার গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাঁরা ঢুকেছিলেন, বের করে দেওয়া হয় তাঁদেরকেও।

আগের চাকরি না দিয়েই নতুন নিয়োগ! আলিপুর চিড়িয়াখানার গেটে পড়ল তালা, ঘেরাও ডিরেক্টর
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

TV বাংলা ডিজিটাল: সপ্তাহান্তে শীতের আমেজ গায়ে লাগিয়ে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও আলিপুর চিড়িয়াখানার (Alipur Zoo) সামলে ভিড় জমিয়েছিলেন শহর ও শহরতলির বাসিন্দারা। প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে ঢুকতে দেওয়া হলেও বেলা একটু বাড়তেই চিড়িয়াখানার গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাঁরা ঢুকেছিলেন, বের করে দেওয়া হয় তাঁদেরকেও। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, চিড়িয়াখানার কর্মচারী ইউনিয়নের তরফ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট রাকেশ সিং-এর নেতৃত্বে শুক্রবার বন্ধ করে দেওয়া হয় চিড়িয়াখানা।

ইউনিয়নের তরফের দাবি, শুক্রবার সকালে ১১১ জন চিড়িয়াখানায় কাজে যোগদান করতে এসেছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই নিয়মমাফিক পরীক্ষা দিয়ে বিভিন্ন পদে যোগ দিতে আসেন। সেই নতুন পদে নিয়োগের বিরোধিতা করেই চিড়িয়াখানার গেটে তালা লাগিয়ে দেয় রাকেশ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কর্মীরা। চিড়িয়াখানার সামনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় আচমকা এভাবে গেট বন্ধ করে দেওয়ায়।

কিন্তু নতুন নিয়োগের বিরোধিতা কেন? ইউনিয়ন সূত্রে খবর, চিড়িয়াখানার ৪ জন কর্মী অনেকদিন আগেই কাজ করার সময় মারা গিয়েছিলেন। সেই মতো তাঁদের পরিবারের একজন করে সদস্যের চাকরি পাওয়ার কথা ছিল। বহুদিন ধরে সেই নিয়োগের জন্য অনুনয়-বিনয় করা হচ্ছিল। তবে প্রতিবার কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, এই মুহূর্তে কোনও ফাঁকা পদ নেই। পদ ফাঁকা হলেই চাকরি দেওয়া হবে। ঠিক এই জায়গাতেই ইউনিয়নের প্রশ্ন, পদ যদি ফাঁকা না-ই থাকে, তবে এই ১১১ জন পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পেলো কীভাবে?

আরও পড়ুন: লাভ হল না ক্ষতি! তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে কোন নেতা আজ কোথায় দাঁড়িয়ে?

নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই এ দিন চিড়িয়াখানার দরজা বন্ধ করে দেয় সেখানকার কর্মীরা। পাশাপাশি আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টরকে ঘেরাও করা হয়। ইউনিয়ন এবং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ৮ ডিসেম্বর চিড়িয়াখানার এজিএম ওই ৪ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে আশ্বাস সত্ত্বেও ইউনিয়ন নিজের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, আগে ওই চার পরিবারের একজন করে সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। তারপরই এই ১১১ জন চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। ইউনিয়নের দাবি কর্তৃপক্ষের তরফে মেনে নেওয়া হয়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার আগেই পুনরায় খুলে যায় চিড়িয়াখানার গেট। অন্যদিকে যাঁরা সকাল সকাল চিড়ায়াখানা ভ্রমণে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ফিরে যান হতাশ হয়ে।

আরও পড়ুন: শাহের নয়া অস্ত্র ‘গুপকার গ্যাং’ আসলে কী? জোট থেকেই বা কেন বেরিয়ে এল কংগ্রেস?

Next Article