National Medical College: হাসপাতাল ছেড়ে নিজের নার্সিংহোমে চলে যান উপাধ্যক্ষ, বিস্ফোরক অভিযোগ ন্যাশনাল মেডিক্যালে

Sourav Dutta | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 19, 2023 | 9:15 AM

National Medical College: ওই কলেজের কয়েকজন পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তার দাবি করেছেন, মনবুর আলি পাশ করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছিলেন ছাত্রদের কাছ থেকে। সব পেপারে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

National Medical College: হাসপাতাল ছেড়ে নিজের নার্সিংহোমে চলে যান উপাধ্যক্ষ, বিস্ফোরক অভিযোগ ন্যাশনাল মেডিক্যালে
ন্যাশনাল মেডিক্যালের উপাধ্যক্ষ অর্ঘ্য মৈত্র
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: শহরের আরও একটি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। আর সেই দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়ে গেল কলেজের উপাধ্যক্ষের। টাকা দিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ থেকে শুরু করে হাসপাতালের বেড নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। টিএমসিপির ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মনবুর আলি অভিযোগ জানিয়েছেন, উপাধ্যক্ষ বা এমএসভিপি অর্ঘ্য মৈত্রের বিরুদ্ধে। আবার মনবুর আলির বিরুদ্ধেও উঠেছে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। দু পক্ষই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মনবুর আলি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ, এমএসভিপি অর্ঘ্য মৈত্র সবসময় হাসপাতালে থাকেন না, দুপুর ২ টোর পর নিজের নার্সিংহোমে চলে যান। ওই পদে বসে চেম্বারে বা নার্সিংহোমে রোগী দেখা যায় না বলেই দাবি করা হয়েছে। আরও অভিযোগ, কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অর্ঘ্য মৈত্র, রোগীরা পান না ঠিক মতো পরিষেবা। নার্সিংহোমের রোগীদের নিয়ে এসে হাসপাতালের বেডে ভর্তি করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। তিন দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হয়েছে তদন্ত। উপাধ্যক্ষ অর্ঘ্য মৈত্রের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন অধ্যক্ষ অজয় রায়।

অর্ঘ্য মৈত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, “অধ্যক্ষ আমার কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন। আমি যা জানানোর জানিয়েছি।‌ এটুকু বলতে পারি, যা অভিযোগ করা হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা। আমার নার্সিংহোমের রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে টাকা নিয়েছি প্রমাণ হলে চাকরি ছেড়ে দেব।”

এদিকে, ওই কলেজের কয়েকজন পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তার দাবি করেছেন, মনবুর আলি পাশ করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছিলেন ছাত্রদের কাছ থেকে। সব পেপারে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের প্রতিক্রিয়ার জন্য গেলেও তিনি মুখ খোলেননি। ছাত্র সংসদের তরফে দাবি করা হয় যাঁরা অভিযোগ করছেন, সেই ছাত্ররা বহিরাগত। তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি বলেই এই সব অভিযোগ সামনে আনছেন তাঁরা।

Next Article