Physical Harassment: বাথরুমে টেনে ঢুকিয়েই দরজা বন্ধ! খাস শহরতলিতে সরকারি স্কুলের মধ্যেই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ
Baguiati: অভিযোগ, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে জোর করে স্কুলের বাথরুমের ভিতর টেনে নিয়ে যায় স্কুলের সিকিউরিটি স্টাফ। এরপর বাথরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে ক্লাস ফাইভের ওই ছাত্রীর উপর অকথ্য যৌন হেনস্থা চলে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ভয় পেয়ে যায় নাবালিকা এবং চিৎকার করতে শুরু করে। আর পরক্ষণেই ওই দারোয়ান ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ।
বাগুইআটি: স্কুলের মধ্যেই নাবালিকার উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ শহরতলিতে। ঘটনাটি কেষ্টপুরের এক সরকারি স্কুলের। অভিযোগ, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে জোর করে স্কুলের বাথরুমের ভিতর টেনে নিয়ে যায় স্কুলের সিকিউরিটি স্টাফ। এরপর বাথরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে ক্লাস ফাইভের ওই ছাত্রীর উপর অকথ্য যৌন হেনস্থা চলে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ভয় পেয়ে যায় নাবালিকা এবং চিৎকার করতে শুরু করে। আর পরক্ষণেই ওই দারোয়ান ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। একেবারে কলকাতা শহরতলির বুকে খোদ সরকারি স্কুলে শিউরে দেওয়ার মতো এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় অভিভাবকদের মধ্যে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই পরিবারের তরফে ওই স্কুলের দারোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয় বাগুইআটি থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপও করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত সিকিউরিটি স্টাফকে।
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি যখন ঘটেছিল, তখন স্কুলে ক্লাস চলছিল। পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়াও তখন ক্লাসেই ছিল। সেই সময় ক্লাসের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র কম পড়েছিল। শিক্ষিকাই ওই ছাত্রীকে বলেছিলেন, কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য। সেই মতো সেগুলি আনতে যাচ্ছিল ওই ছাত্রী। আর সেই সময়েই এই কুকর্ম চালায় ওই সিকিউরিটি স্টাফ। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি সেই সময় স্কুলের বাথরুমের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল। সেখান থেকেই ছাত্রীকে ডাকে। কিন্তু ওই ছাত্রী কোনও সাড়া না দিতে এগিয়ে যেতেই, তার হাত ধরে জোর করে বাথরুমের ভিতরে টেনে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ উঠছে, এরপর বাথরুমের দরজা বন্ধ করে চলে কুকর্ম। ছাত্রী চিৎকার করতে শুরু করে তার মুখ চেপে ধরে ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। সাবধান করে দেওয়া হয়, যাতে এইসব ঘটনার কথা কাউকে না জানায়। গোটা ঘটনায় ভীষণ ভয় পেয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পরে গোটা বিষয়টি নিজের এক বান্ধবীকে জানায় ওই ছাত্রী। এরপর ওই বান্ধবী ছাত্রীর দিদিকে জানায় বিষয়টি। এই যৌন হেনস্থার অভিযোগ পরিবারের কানে যেতেই সঙ্গে সঙ্গে হইচই পড়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের দারোয়ানকে গ্রেফতার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, ‘যখন জানতে পেরেছি, সঙ্গে সঙ্গে আমি স্কুলে চলে এসেছি। যা ঘটেছে, আমি খুবই দুঃখিত। এটা কোনওভাবেই কাম্য নয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। আইন আইনের পথে চলবে। ওই ব্যক্তি যদি দোষ করে থাকেন, তাহলে উনি শাস্তি পাক। বিষয়টি জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ওই ব্যক্তিকে আমরা আর কাজে রাখব না।’