Threat Culture: এবার CESCতে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ, উঠল শাসক-ঘনিষ্ঠের নাম
CESC: অভিযোগকারী এক কর্মীর কথায়, "সমীর পাঁজা একজন টেকনিশিয়ন। আমিও একই পদে। ওনার বাড়িতে গিয়ে দেখুন কোটি টাকার মালিক। সিবিআই তদন্ত করুক। ফ্ল্যাট, জমি, মদের দোকান, কফিহাউজ কী নেই। বহু লোক অবসরের পর কাজ করছে। আর আমরা খুবই ভয়ের পরিস্থিতিতে আছি। সিইএসসিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ম্যানেজমেন্ট শোনে না। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে জানালাম।"
কর্মক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিবেশের অভিজ্ঞতার অভিযোগ তুলছেন কর্মচারিরা। তৃণমূলের ইউনিউনের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তাঁদের। সাধারণ সম্পাদক সমীর পাঁজাকে ‘দ্বিতীয় সন্দীপ ঘোষ’ আখ্যা তৃণমূল সমর্থকদেরই। কথা না শুনলেই বদলি, ক্রমাগত হুমকি হুঁশিয়ারিতে জর্জরিত সিইএসই কর্মচারীদের একাংশ বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, কারও লাইফ টাইম ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ পেয়েছেন দূরে বদলি। তিনজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিকে নিয়ে দল বেঁধে ভয়ের সাম্রাজ্য গড়েছেন সমীর, অভিযোগ এমনই।
যদিও এই থ্রেট কালচার নিয়ে আগেই অভিযোগ উঠেছে সমীর পাঁজার বিরুদ্ধে। আর সে সময় তিনি বলেছিলেন, “বিরোধী ইউনিয়নের লোকজনও কাজ করছেন। থ্রেট কালচার থাকলে তাঁরা তো কাজ করতেন না। ২০০৩ সালে সিপিএম যেভাবে এই কালচারের মধ্যে দিয়ে প্রায় ২৬০০ লোককে ভিআরএসের মধ্যে দিয়ে সিইএসসির কর্মীকে তাড়িয়েছে, সেই সমস্ত নেতার ছেলেমেয়েরা এখনও কাজ করছেন। থ্রেট কালচার থাকলে এটা করতে পারত না।”
যদিও অভিযোগকারী এক কর্মীর কথায়, “সমীর পাঁজা একজন টেকনিশিয়ন। আমিও একই পদে। ওনার বাড়িতে গিয়ে দেখুন কোটি টাকার মালিক। সিবিআই তদন্ত করুক। ফ্ল্যাট, জমি, মদের দোকান, কফিহাউজ কী নেই। বহু লোক অবসরের পর কাজ করছে। আর আমরা খুবই ভয়ের পরিস্থিতিতে আছি। সিইএসসিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ম্যানেজমেন্ট শোনে না। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে জানালাম। বললেন দেখবেন। চলে এলাম, কোথায় কী?” এ নিয়ে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়েরব বক্তব্য, “আমি ওদের নিয়ে মিটিং করেছি। আজ বহু বছর ইউনিয়ন করি। আমি কথা বলে দেখছি।”