Amherst Street Case: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ড: দেহ পাওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ পরিবার

Supriyo Guha | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 18, 2023 | 12:17 PM

Amherst Street Case: পরিবারের পক্ষ থেকে থানার সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টিকে ইস্যু করে বিজেপি। মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত কমান্ড, সেনা কিংবা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে করানো হোক, দাবি তোলে পরিবার ও বিজেপি।

Amherst Street Case:  আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ড: দেহ পাওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ পরিবার
কলকাতা হাইকোর্ট
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: দেহ পাওয়ার জন্য ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডে নিহত ব্যক্তির পরিবার। হাইকোর্টে গিয়েছে নিহত ব্যক্তি অশোক সিংয়ের ভাইপো বিজয় সাউ। বুধবার আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানার লক আপে অশোককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক একটি মোবাইল কিনেছিলেন। সেটি চুরির মোবাইল বলে পুলিশ তাঁকে থানায় ডেকে পাঠায়।  সেখানেই লক আপে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর বাড়িতে মৃত্যুর খবর আসে। লক আপে ঠিক কী ঘটেছিল, তার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় পুলিশকে। পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে।

পরিবারের পক্ষ থেকে থানার সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টিকে ইস্যু করে বিজেপি। মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত কমান্ড, সেনা কিংবা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে করানো হোক, দাবি তোলে পরিবার ও বিজেপি। একাধিক আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। হাইকোর্টে যান ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষ।

কিন্তু হাইকোর্টে ধাক্কা খায় বিজেপি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্পষ্ট বলে দেন, “দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ময়নাতদন্ত করা তখনই হয়, যখন দেখা যায়, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা নয়। কারণ অশোক সিংয়ের মৃত্যু ব্রেন হেমারেজেই হয়েছে বলে রিপোর্ট বলছে।” পুলিশি তদন্তের ওপরেও আস্থা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, “এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও অবৈধ পদক্ষেপ করছে বলে মনে করা হয়। থানার সিসিটিভি ফুটেজও যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হবে বলে আশা করা যায়।” এরপর দেহ যাতে পরিবারের হাতে দেওয়া হয়, তার আবেদন জানিয়ে থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার।

Next Article