Amherst Street Case: এসএসকেএমে আনা হল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় মৃত অশোকের দেহ, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চায় না পরিবার

Amherst Street Case: থানার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় বন্দি ফুটেজ আগেই সংগ্রহ করেছে লালবাজার। এবার তারা কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক খতিয়ে দেখতে চাইছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের সদস্যদের আবারও নোটিস পাঠানো হচ্ছে পুলিশের তরফে। এর আগেও নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছিল। তবে কেউ যাননি বলেই খবর।

Amherst Street Case: এসএসকেএমে আনা হল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় মৃত অশোকের দেহ, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চায় না পরিবার
আমহার্স্ট স্ট্রিট থানাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 17, 2023 | 7:55 PM

কলকাতা: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডে থানার সিসিটিভি ফুটেজ আগেই সংগ্রহ করেছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। এবার কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক সিজ করা হচ্ছে বলে খবর। আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানায় অশোককুমার সিং নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। নিহতের পরিবার অভিযোগ তোলে পিটিয়ে মারা হয়েছে অশোককে। শুক্রবার পুলিশ মর্গ থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। যদিও দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত চায় না পরিবার। তাদের বক্তব্য, দেহ পচতে দিতে চায় না তারা। যদিও এসএসকেএমে কলকাতা পুলিশ জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের নির্দেশে দেহ সংরক্ষণ করা থাকবে। ফলে দেহ পরিবারের হাতে এখনই দেওয়া হবে না। অর্থাৎ দেহ পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সংরক্ষণ করা থাকবে এসএসকেএমের মর্গে।

এদিকে চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ দল এদিনই ভিসেরা সংগ্রহ করেছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে নমুনাও। হিস্টোপ্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য মৃতের লিভার, দুই কিডনি, ব্রেন টিস্যু-সহ শরীরের আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুরনো কোনও রোগব্যাধি ছিল কি না তাও জানার জন্য নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

থানার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় বন্দি ফুটেজ আগেই সংগ্রহ করেছে লালবাজার। এবার তারা কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক খতিয়ে দেখতে চাইছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের সদস্যদের আবারও নোটিস পাঠানো হচ্ছে পুলিশের তরফে। এর আগেও নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছিল। তবে কেউ যাননি বলেই খবর।

নিহতের পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, একটি মোবাইল ফোন কিনেছিলেন অশোক। তবে সেটি যে চুরি যাওয়া কোনও মোবাইল ফোন তা তিনি জানতেন না। এদিকে আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ তাঁকে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। পরিবারের অভিযোগ, সেখানেই কয়েকজন পুলিশ কর্মী বেধড়ক মারধর করেন অশোককে। নিছক সন্দেহের বশে এই মার বলে দাবি তাঁদের। পরে থানার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দেহ।