Amit Shah: দিদি এখন দুর্গার নাম জপেন, ভাইপোর নাম যাতে কেউ বলে না দেন, মমতাকে শাহি-খোঁচা

Amit Shah: অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে কথা বলার পরই বাংলার একাধিক দুর্নীতি প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেন অমিত শাহ। আর সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই তাঁর মুখে উঠে আসে বাংলার বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের দাপুটে নেতা বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম

Amit Shah: দিদি এখন দুর্গার নাম জপেন, ভাইপোর নাম যাতে কেউ বলে না দেন, মমতাকে শাহি-খোঁচা
মমতাকে খোঁচা শাহরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 29, 2023 | 4:21 PM

কলকাতা:  “সৎ সাহস থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত ও পার্থকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবেন।” দুর্নীতি ইস্যুতে ধর্মতলার মেগা মঞ্চে মিনিট তেইশের বক্তৃতায় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।  কটাক্ষ ছুড়লেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কেবল প্রার্থনা করছেন, যাতে ‘ভাইপো’র নাম প্রকাশ্যে চলে না আসে।

অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে কথা বলার পরই বাংলার একাধিক দুর্নীতি প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেন অমিত শাহ। আর সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই তাঁর মুখে উঠে আসে বাংলার বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের দাপুটে নেতা বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম। যাঁরা বর্তমানে ক্রমান্বয়ে রেশন, শিক্ষা, ও গরু পাচার দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে। তাঁরা জেল খাটছেন। অথচ দলের তরফে এখনও পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই বিষয়টি নিয়েই সোচ্চার হন অমিত শাহ।

শাহ বলেন, “গোটা দেশে বাংলার নাম খারাপ করতে উঠে পড়ে লেগেছে মমতা সরকার। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রত্যেকেই  গরু পাচার হোক কিংবা কয়লা, বা শিক্ষা, বাংলার মানুষের টাকা খেয়েছে ওরা।”  ধর্মতলার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অমিত শাহ বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত ও পার্থকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবেন।” আর সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই ‘ভাইপো’ তিরে বিঁধলেন অমিত শাহ।  তিনি বোঝালেন, ভয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি ইশ্বরের নাম নিচ্ছেন। অমিত শাহর কথায়, ” রোজ দুর্গার নাম করছেন মমতাদিদি, যাতে কেউ ভাইপোর নাম বলে না দেয়। যিনি নিজেই দুর্নীতিতে যুক্ত, তিনি কীভাবে বাংলাকে দুর্নীতিমুক্ত করবেন?”

শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অমিত শাহ বলেন, “আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। আমি বলছি, কান খুলে শুনে নিন। আমি শুভেন্দু অধিকারীকে বার করতে পারবেন। কিন্তু বাংলার মানুষকে চুপ করাতে পারবেন না।”

এদিনের অমিত শাহর গোটা বক্তৃতার বেশিরভাগই ছিল দুর্নীতি ইস্যু। ‘২৪ নির্বাচনের আগে স্ট্র্যাটেজি প্ল্যানিংয়ে সেটাকেই আরও বেশি শান দিয়ে যান শাহ। বার্তা দিয়ে গেলেন, “বাংলার মানুষ বলছেন, দিদি আপনার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।”