কলকাতা: এবার তিহাড়ে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় সিবিআই আধিকারিকরা। গরু পাচার কাণ্ডের কাল টাকায় আরও বহু কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন অনুব্রত। হদিশ পেয়েছে সিবিআই। এর মধ্যে আছে চালকল, পেট্রোল পাম্প, প্রচুর বাস্তুজমি। বহুমূল্য বাস্তু জমির রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে নগদ টাকায়, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নামে এই সব বিষয় রয়েছে দাবি সিবিআই সূত্রের।
গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতর শুনানি ছিল আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে। কিন্তু তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করতে পারেননি আইনজীবীরা। তবে এসবের মাঝেই অনুব্রত মণ্ডলের আরও কাল টাকার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই-এর হাতে তথ্য এসেছে। সিবিআই ইতিমধ্যেই আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে রয়েছে। তাছাড়া একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতেও প্রচুর নগদ টাকা জমা পড়েছে। সেই কোম্পানির মালিক আবার অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের শ্যালক।
নতুন একটি চালকলের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে আবার অনুব্রতর চালকলের আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে সিবিআই-এর হাতে খবর এসেছে। বেশ কিছু জমির সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা, যেগুলির হাতবদল হয়েছে একাধিকবার। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, সব মিলিয়ে সে সব জমির মূল্য ৫০ লক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আরও উল্লেখ্য, ওই জমিগুলোর রেজিস্ট্রি হয়েছ নগদ টাকায়। এসবের ভিত্তিতেই আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞেস করেন, হাতে পাওয়া এত নতুন তথ্যের ভিত্তিতে আদৌ অনুব্রতকে তিহাড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে কিনা? সূূত্রের খবর, তাতে ইতিবাচক ইঙ্গিতই দিয়েছে সিবিআই।