Arms Licence Racket: বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরির ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১

Arms Licence Racket: তদন্তকারীরা মনে করছেন, এর পিছনে একটা বড় চক্র সক্রিয়। সেই চক্রের সন্ধান পেতে চান তদন্তকারীরা।

Arms Licence Racket: বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরির ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১
আগ্নেয়াস্ত্রের জাল লাইসেন্স কারবার (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2021 | 11:05 AM

কলকাতা: বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরি ও বিক্রির ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতের নাম ইসমাইল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র। জাল আর্মস লাইসেন্স দিয়ে অস্ত্র কিনেছিল সে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এর পিছনে একটা বড় চক্র সক্রিয়। সেই চক্রের সন্ধান পেতে চান তদন্তকারীরা।

গত শনিবারই বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরির রমরমা কারবারের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে এ নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে উঠে আসে সিআইডির। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে এ নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে উঠে এল সিআইডির।

বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরির বিনিময়ে মোটা টাকা রোজগার চলে বলে গোপন সূত্রে জানতে পারে সিআইডি। তদন্তে নেমে হাতে উঠে আসে বিস্ফোরক সব তথ্য। অভিযোগ, এই চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এক যুবককে প্রথমে মেমারি থানা এলাকার হরিণডাঙা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম সফিক মোল্লা। এরপরই নানা সূত্র উঠে আসে সিআইডির হাতে। সঙ্গে জুলফিকার শেখ, সাবির মণ্ডল, ইমানুল মণ্ডল, হাফিজুল শেখ, বিমান মণ্ডল নামে পাঁচজন নিরাপত্তা রক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়। যাঁরা বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করতেন।

বৃহস্পতিবার রাতে সফিক মোল্লাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি কলকাতার দক্ষিণদাড়ি, জগৎপুর, বণ্ডেল গেট প্রভৃতি জায়গায় হানা দিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করে সিআইডি। জুলফিকারের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার বোচপুরে। মন্তেশ্বর থানার কুলে গ্রামে সাবিরের বাড়ি। ইমানুলের বাড়ি মেমারি থানার হরিণডাঙায়। কেতুগ্রাম থানার আমবোনায় হাফিজুলের বাড়ি। উত্তর ২৪ পরগণার হাড়োয়ার গুবরিয়ায় বিমানের বাড়ি। সূত্রের খবর, সফিকের কাছ থেকে পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের জাল রবার স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এবং চন্দননগর কমিশনারেটের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং মুর্শিদাবাদের জাল রবার স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়াও বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সরকারি আধিকারিকদের নকল স্ট্যাম্পও মিলেছে সফিকের কাছ থেকে। নিরাপত্তারক্ষীদের পাঁচটি বন্দুক ও তাঁদের লাইসেন্সগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

রাজ্য জুড়ে এই জাল লাইসেন্স তৈরির চক্রটি কাজ করছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী জাল বন্দুকের লাইসেন্স ব্যবহার করে বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছে বলে কিছুদিন আগে তাদের কাছে খবর আসে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা। তদন্তে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীর নাম উঠে আসে। এরপরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। খবর নিয়ে সিআইডি জানতে পারে, তাঁদের লাইসেন্সগুলি জাল। সরকারি আধিকারিকদের সই নকল করে ও জাল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে লাইসেন্সগুলি মোটা অর্থের বিনিময়ে তাঁদের দেওয়া হয়। নিরাপত্তা রক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল লাইসেন্স বিলিতে সফিকের নাম উঠে আসে।

আরও পড়ুন: লাইনে চোখ পড়তেই নজরে পড়ে বড় বিপদ, লাল কাপড় উঁচিয়ে ট্রেন থামালেন যাত্রীরা