কলকাতা: মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) রাজ্যবাসীকে নতুন বছরে নতুন সরকারের তরফে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। রবিবার বেলা বাড়তেই সে সুরে আত্মোপলব্ধির ছোঁয়া। একের পর এক কেন্দ্রে যখন বিজেপি পিছিয়ে পড়ছে, দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গেল, “আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন আছে।”
এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। বেলা যত এগিয়েছে ক্রমেই কোণ ঠাসা হতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেখানে ২০০ আসনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে গিয়েছিলেন, সেখানে ১০০ তো দূরের কথা, ৯০-এর কোঠাও ছুঁতে পারেনি।
অথচ রাজ্য-কেন্দ্র দু’তরফের বিজেপি নেতারাই এবার ‘সোনার বাংলা’ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। করোনার বাড়বাড়ন্তে যখন মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগার, তখনও বিজেপির একাধিক নেতাকে রোড শো, মিটিং-মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা তত্ত্ব খাড়া করেছেন, যে সমস্ত রাজ্যে ভোট নেই সেখানে কী করোনা হচ্ছে না। দিলীপ ঘোষ তো বলেইছিলেন এটা নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার।
কিন্তু রবিবার বিজেপির ফলের ট্রেন্ড থেকে একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন দলের রাজ্য সভাপতি। সুরও অনেকটাই নরম। বললেন, “আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন আছে। সিপিএম-কংগ্রেসের ভোট পুরোটাই তৃণমূলে চলে গিয়েছে। কংগ্রেস নিজের পায়ে কুড়ুল মেরে তৃণমূলকে জিতিয়েছে।”
আরও পড়ুন: Dal Badlu Candidates Counting Update: পিছিয়ে ‘দলবদলু’ রাজীব, সব্যসাচী
তবে শুধু কংগ্রেস, বামেদের কাঠগড়ায় তুলেই দায় সারতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। বললেন, “আমরা যে ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি, তা মানুষের কাছে পৌঁছেছে কি না দেখতে হবে।” একইসঙ্গে তাঁর উদ্বেগ, এবার রাজনৈতিক হিংসা হতে পারে। সেগুলোও সামাল দিতে হবে।