কলকাতা: এবার বাংলায় পড়ল বাংলাদেশের আঁচ। কলকাতার মারক্যুইস স্ট্রিটে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরা পথে নামলেন। শহর কলকাতার বুকে উল্লাসের ছবি। কলকাতার বাসিন্দা বাংলাদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা মেহেদি হাসান লিখন বললেন, “শেখ হাসিনা ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। সরকারের যে জুলুম-অত্যাচারে একের পর এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, ছাত্র সমাজকে প্রতিহত করতে চেয়েছে। কিন্তু ছাত্র সমাজ গুলিকে ভয় পায় না। আজ আমরা অনেক খুশি। ”
আরও এক যুবক বলেন, “বাংলাদেশে মৌলিক অধিকারগুলোর কোনও নিশ্চয়তা নেই। শেখ হাসিনার বিচার চাই।” কলাকাতায় আন্দোলনরত ছাত্রদের স্লোগান শোনা যাচ্ছেল কলকাতার বাংলাদেশিদের গলায়।কলকাতার রাস্তায় বিজয়োল্লাসে সামিল হয়েছেন তাঁরা।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দিল্লিমুখী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করার কথা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। দেশবাসীকে ভাঙচুর, মারামারি, সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান বললেন, ‘‘সংঘাতের মাধ্যমে আর নতুন কিছু আমরা পাব না। প্রতিটা হত্যার বিচার করা হবে। প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে।’’ দেশের পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। ঢাকার রাস্তায় এখন বিজয়োল্লাস আর সেই বিজয়োল্লাসের আঁচ পড়ল কলকাতাতেও।
বাংলাদেশ থেকেই কিছুদিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন এক ব্যক্তি। সপরিবারে। সেদেশে পরিবারের বাকি সদস্যরা রয়েছেন। সেখানে কার্ফু ছিল। কীভাবে যাবেন, কী করবেন? মহম্মদ ইউনিস বললেন, “আমরা তো কিছু পয়সা নিয়ে এসেছিলাম। সে টাকাও শেষ। এভাবে কীভাবে থাকব সেখানে। কালই বর্ডারের দিকে রওনা দেব। যেতে পারি না পারি, বাংলাদেশে ঢুকতে পারছি না। ভীষণই টেনশনে আছি।”