
কলকাতা: সাত মাসের শিশুকে নৃশংসভাবে ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার দোষী সাব্যস্ত করল বিচার ভবন পকসো আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সাজা ঘোষণা করবে আদালত। ২৬ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। রাজ্যের তরফে ফাঁসির আবেদন করা হয়েছে। এই তদন্তে গেইট পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেখানে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে হাঁটাচলা ও অভিযুক্তের হাঁটাচলা মিলিয়ে দেখা হয়। এছাড়াও ১৯ মিনিটের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে নানা তথ্য সংগ্রহ করে করা হয়।
ঘটনার ৪০ দিনের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২৬ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। ২৪ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের সাক্ষীও আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর বড়তলা থানায় এক শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়ে যায়। বাবা-মায়ের অভিযোগ ছিল, রাতে রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশু নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছিলেন ফুটপাতনিবাসী ওই দম্পতি। পরে ওই ফুটপাত থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৬ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সোমবার আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল।
সাতে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। বড়তলা থানা তদন্তে নেমে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সাজাপ্রাপ্তের নাম বছর চৌত্রিশের রাজীব ঘোষ। তার ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭(২), ৬৫(২) এবং শিশু সুরক্ষা আইনের (পকসো) ৬ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।