বেহালা: সাংসারিক অশান্তি ছিল বরাবর। অভিযোগ, মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নাকি রোজ-রোজ অশান্তি হচ্ছিল। তবে তার জেরে এত বড় কাণ্ড ঘটবে কেউ বুঝতে পারেনি। অভিযোগ, প্রথমে স্ত্রী-কে শ্বাসরোধ করে খুন করেন স্বামী। তারপর ১০০-তে ফোন করে নিজেই জানান সবটা।
বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোডের সুকান্ত পল্লীর ঘটনা। মৃতের নাম কৃষ্ণা দাস। অভিযুক্ত স্বামী কার্তিক দাস। পেশায় মুরগী ব্যবসায়ী। দম্পতি সুকান্ত পল্লীতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কৃষ্ণা এবং কার্তিকের পাঁচ বছরের এক কন্যা ও বারো বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন ঝুটঝামেলা লেগেই থাকত।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি জেনে যান কার্তিক। তারপর রোজ-রোজ গন্ডগোল করত দম্পতি। অভিযোগ, বুধবার রাত্রিবেলা শ্বাসরোধ করে নিজের স্ত্রীকে খুন করেন ওই ব্যক্তি। তারপর ১০০ ডায়াল করে নিজেই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্তে এলাকায় আসে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগ।
এ দিকে, মৃতের জেঠীমার দাবি, তাঁদের জামাই এক সময় নাকি কৃষ্ণা নাকি টাকার জন্য বিক্রিও করে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, “বিয়ের পর থেকেই অশান্তি ছিল। বিক্রি করে দিতেও চেয়েছিল। আমরাই আটকে ছিলাম।”