AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ভোটকে কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্র ভাবছে বিজেপি’, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্রাত্যর

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (Bengal Assembly Election 2021) নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। এরইমধ্যে রাজ্যে পৌঁছেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১২৫ কোম্পানি বাহিনী চলে আসবে বাংলায়।

'ভোটকে কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্র ভাবছে বিজেপি', কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্রাত্যর
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Feb 21, 2021 | 3:41 PM
Share

কলকাতা: বিধানসভা ভোটকে (Bengal Assembly Election 2021) কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্র ভাবছে কেন্দ্র। ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমনকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, এরপর হয়তো সাঁজোয়া গাড়ি, ট্যাঙ্কও পাঠাবে মোদী সরকার। তবে এসব করেও মানুষের মনে বিজেপি জায়গা করতে পারবে না বলেই আত্মবিশ্বাসী ব্রাত্য।

একুশের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। এরইমধ্যে রাজ্যে পৌঁছেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১২৫ কোম্পানি বাহিনী চলে আসবে বাংলায়। ইতিমধ্যেই তারা রুটমার্চও শুরু করেছে বিভিন্ন জেলায়। এ নিয়ে শাসকদল-বিরোধী সিপিএম একযোগে বিজেপিকে বিঁধেছে।

রবিবার দমদমে এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, “২০২১ সালের বিধানসভা সংসদীয় নির্বাচনকে কারগিল যুদ্ধ হিসেবে দেখছে বিজেপি সরকার। এর আগে এত নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু কখনও এতদিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি। এরপরে সাঁজোয়া গাড়ি পাঠাবে ওরা। তারপরে দেখবেন হয়ত কার্গিল বর্ডারের ট্যাঙ্ক পাঠাবে। আসলে ওরা ভোটটাকে যুদ্ধ মনে করছে।”

আরও পড়ুন: শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরকে মিষ্টিমুখ দিলীপের, ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ নিয়ে জোরাল জল্পনা

এর আগে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এই কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বিজেপি নেতাদের পাহারা দিতে। বর্ষীয়ান এই বাম নেতার দাবি, রাজ্য পুলিশ পাহারা দেয় তৃণমূলকে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহারা দেবে বিজেপি নেতাদের। যদিও বিজেপি এ সব বক্তব্যকে খুব একটা আমল দিতে নারাজ।

রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য স্পষ্ট, “একটা দল বাংলার পরিবেশ নষ্ট করেছে। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারে না। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে না। কমিশন সব বুঝেই এই পদক্ষেপ করেছে। আসলে শাসকদল বুঝে গিয়েছে দলদাস পুলিশ, গুণ্ডা মাফিয়াদের ব্যবহার করে লাভ হবে না। তাই এসব বলছে।”

যদিও ব্রাত্য বসু যখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন নিয়ে এমন ‘গুরুতর’ পরিস্থিতির উপমা তুলে ধরছেন, তখন তাঁর দলেরই এক নেতার কাছে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘তুচ্ছ’। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাসসের হোসেন তো বলেই দিয়েছেন তাঁদের ছেলেরা মাঠে থাকবে। আধা সামরিক বাহিনীর কিছুই করার থাকবে না। স্থানীয় ভোগালি-২ গ্রামপঞ্চায়েতে এক কর্মিসভা থেকে মোদাসসেরের বার্তা, “আমাদের এলাকায় তৃণমূলের লোক ছাড়া অন্য কেউ ভোট দিতে যেতে পারবে না। বুথে থাকবে আধা সামরিক বাহিনী, মাঠে থাকবে আমাদের ছেলেরা।”