AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মহারাষ্ট্রে করোনার বাড়বাড়ন্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভোটমুখর বাংলা

ভাইরাসের চরিত্রে বদল ঘটলে হাতের মুঠোয় থাকা দুই ভ্যাকসিন (Vaccine) আদৌ রক্ষাকবচ হিসাবে প্রমাণিত হবে কি না তা-ও স্পষ্ট নয়।

মহারাষ্ট্রে করোনার বাড়বাড়ন্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভোটমুখর বাংলা
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Feb 21, 2021 | 10:56 AM
Share

কলকাতা: নতুন স্ট্রেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) যেভাবে করোনা (COVID) ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বিঘ্ন গোটা দেশ। সেই উদ্বেগের ছোঁয়া এ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরেও। ইদানিং আবার দৈনিক পরীক্ষার নিরিখে আক্রান্তের হারও বাংলায় (Bengal) কিছুটা বেড়েছে। সামনেই ভোট। তার আগে বিপুল হারে রাজনৈতিক জমায়েত, মিটিং-মিছিল-প্রচার করোনাকে নতুন করে মদত দিতে পারে বলেই আশঙ্কা বিভিন্ন মহলের।

স্বাস্থ্য ভবন‌ সূত্রে খবর, বাংলায় নমুনা পরীক্ষার নিরিখে আক্রান্তের হার এখন ১.০২ শতাংশ। কিছুদিন আগেও যা .৭ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর নিয়মিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যে বুলেটিন প্রকাশ করে তাতে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া তো বটেই পুরুলিয়ার মত জেলাতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, পুরুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এখন কমেছে। কিন্তু তারপরও সংক্রমিতের এই পরিসংখ্যান ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের একাংশকে।

আরও পড়ুন: করোনার নতুন স্ট্রেন কি আরও ভয়ঙ্কর বিপদের বার্তাবাহী, কী বলছেন এইমস কর্তা

আজকাল আবার করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বেশ খানিকটা কমেছে। মাস্ক না পরে ঘোরা কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার না করার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের এই উদাসীনতা বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের বক্তব্য, গণ টিকাকরণ প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা যায়নি। প্রথম টিকা নেওয়ার পরে দ্বিতীয় টিকা কবে নিলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়বে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি, ভাইরাসের চরিত্রে বদল ঘটলে হাতের মুঠোয় থাকা দুই ভ্যাকসিন আদৌ রক্ষাকবচ হিসাবে প্রমাণিত হবে কি না তা-ও স্পষ্ট নয়। সবমিলিয়ে ভোটের মরসুমে করোনা রেখচিত্র নিম্নমুখী হলেও আদতে কী খেল দেখায় সে দিকে তাকিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।