করোনার নতুন স্ট্রেন কি আরও ভয়ঙ্কর বিপদের বার্তাবাহী, কী বলছেন এইমস কর্তা
ভারতে কোভিডের (COVID) নয়া ২৪০টি স্ট্রেনের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। এরইমধ্যে আবার গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনার দাপাদাপি নতুন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
নয়া দিল্লি: করোনা নতুন স্ট্রেন ভারতের জন্য আরও বিপজ্জনক হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস (AIIMS)-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। হার্ড ইমিউনিটি ছাড়া এই স্ট্রেনকে কাবু করা অত সোজা হবে না। এদিকে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করাও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। গুলেরিয়ার কথায়, হার্ড ইমিউনিটি কার্যত একটা মিথ। কারণ, মোট জনসংখ্যার অন্তত ৮০ শতাংশের শরীরে অ্যান্টি বডি তৈরি না হলে হার্ড ইমিউনিটির শৃঙ্খলও তৈরি করা সম্ভব হবে না।
ভারতে কোভিডের নয়া ২৪০টি স্ট্রেনের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। এরইমধ্যে আবার গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনার দাপাদাপি নতুন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নতুন কোনও স্ট্রেনের কারণেই মহারাষ্ট্রে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সে রাজ্যের কোভিড টাস্কফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক জোশী এই সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে রাজি নন। শুধু মহারাষ্ট্রই নয়, মধ্য প্রদেশ, কেরল, ছত্তীশগঢ়, পঞ্জাবেও গত কয়েকদিনে সংক্রমণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’
এসবের মধ্যেই দেশে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ। তিন কোটি স্বাস্থ্য কর্মী ও সামনের সারির যোদ্ধাদের প্রাথমিকভাবে এই টিকা দেওয়া হবে। এরপর টিকা পাবেন পঞ্চাশোর্ধ্বরা। ধাপে ধাপে গোটা দেশের মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে টিকাকরণ হবে। হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করে করোনাকে রুখে দেওয়াই লক্ষ্য কেন্দ্রের। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়া কতটা সহজ তা নিয়ে সংশয় রয়েছে এইমস কর্তার মনে।