টানা ৩০ ঘণ্টা নবান্নে কাটিয়ে অবশেষে কালীঘাট ফিরলেন মমতা

সেই মতো গতকাল ১১ টায় ঢোকার পর আজ বিকেলে রাজ্যের মুখ্য সচিবালয় ছেড়ে বেরিয়ে যান মমতা।

টানা ৩০ ঘণ্টা নবান্নে কাটিয়ে অবশেষে কালীঘাট ফিরলেন মমতা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 26, 2021 | 6:03 PM

কলকাতা: ইয়াস মোকাবিলায় একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় টানা ৩০ ঘণ্টা সময় রাজ্যের মুখ্য সচিবালয়ে কাটানোর পর বুধবার বিকেল ৫ টা ২০ নাগাদ নবান্ন ছাড়েন মমতা। ঠিক আমফানের সময় যেভাবে লাগাতার নবান্নর কন্ট্রোল রুম দেখে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর মমতা নজর রেখেছিলেন, একই ভাবে এ বারও ইয়াসের যাবতীয় গতিবিধির উপর কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালান মমতা। দুর্যোগের টানা মনিটরিং করে এ দিন বিকেলে কালীঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামিকালও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। যে কারণে ২৭ মে-র বদলে ২৮ মে তিনি বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১১ টা নাগাদ নবান্নে এসেছিলেন মমতা। আগেই জানিয়েছিলেন, সারারাত থাকবেন। সেই মতো গতকাল গোটা রাত অতন্দ্র প্রহরীর মতো জেগেই কাটান নেত্রী। সারাক্ষণ ইয়াসের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখেন। যতক্ষণ না ইয়াসের দুর্যোগ কাটে, ততক্ষণ তিনি নবান্নেই থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেই মতো গতকাল ১১ টায় ঢোকার পর আজ বিকেলে রাজ্যের মুখ্য সচিবালয় ছেড়ে বেরিয়ে যান মমতা।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই নবান্নে দীর্ঘ সময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গত ৩০ ঘণ্টা বেশিরভাগ সময়টাই একাধিক জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তার মাঝেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবান্নে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কন্ট্রোল রুমে বসে রাজ্যের ইয়াস প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রথমে যাবেন সাগরে, এরপর পূর্ব মেদিনীপুরে, ইয়াসের বিপর্যয় বুঝতে লাগাতার বৈঠক মমতার

এ দিন নবান্ন থেকে বাড়ি ফেরার আগে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরশুদিন তিনি আকাশপথে ত্রস্ত এলাকাগুলি খতিয়ে দেখতে যেতে চান। মমতা জানিয়েছেন, ইয়াসের আংশিক ধাক্কা পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছলেও একে প্রায় ১ কোটি মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন। প্রায় ৩ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং দফায় দফায় বৈঠক করতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে যাবেন তিনি।

আরও পড়ুন: শুনশান গ্রামে বাঁচানোর কেউ ছিল না, জলের তোড়ে ভেসে গেলেন বৃদ্ধ