AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শুনশান গ্রামে বাঁচানোর কেউ ছিল না, জলের তোড়ে ভেসে গেলেন বৃদ্ধ

প্লাবনে কার্যত জলের তলায় চলে গিয়েছে গোটা ঘোড়ামারা দ্বীপ। অনেকেই ছাদের ওপর বসে রয়েছেন প্রাণ বাঁচাতে।

শুনশান গ্রামে বাঁচানোর কেউ ছিল না, জলের তোড়ে ভেসে গেলেন বৃদ্ধ
জলমগ্ন ঘোড়ামারা দ্বীপ (নিজস্ব চিত্র)
| Updated on: May 26, 2021 | 4:42 PM
Share

ঘোড়ামারা: সাইক্লোন ইয়াসে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী অংশ। আর সাগরে জলপ্লাবনে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। যদিও এই মৃত্যুকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম বৃন্দাবন জানা।

সাইক্লোনের পূর্বাভাস পাওয়ার পরই এই দ্বীপ থেকে দেড় হাজার লোককে সরিয়ে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বৃদ্ধকেই ত্রাণ শিবিরেই রাখা হয়েছিল। কিন্তু জোয়ার শেষে ভাটা শুরু হতে নিজের ঘর-বাড়ি দেখতে গ্রামের পথে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ। তখনই জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি। আটকে যান পান বরজে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ আটকে ছিলেন। কিন্তু গ্রামে কেউ সেই মুহূর্তে না থাকায় তাঁকে কেউ বাঁচাতে পারেনি। সেখানেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। সাগরের মাঝে এই ছোট দ্বীপ কার্যত পুরোটাই জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে এ দিন। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে বাড়ির ছাদে গিয়ে বসে রয়েছেন। বেশির ভাগ বাড়ির ছাদটুকুই শুধু ভেসে আছে।

আরও পড়ুন: প্রথমে যাবেন সাগরে, এরপর পূর্ব মেদিনীপুরে, ইয়াসের বিপর্যয় বুঝতে একাধিক বৈঠক মমতার

এ দিকে, জেলার বিস্তীর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধ ভেঙে। জল ঢুকে গিয়েছে একাধিক জায়গায়। হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর জলে ভেসে গিয়েছে নামখানার গ্রাম। সেখানকার মানুষ আতঙ্কে প্রহর গুণছেন। রাতে ভরা কোটাল শুরু হলে তাঁরা কোথায় যাবেন, সেই ভেবেই আতঙ্কিত তাঁরা। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভেঙে গিয়েছে মাটির বাড়ি। দিনের আলোয় রাস্তায় এসে দাঁড়ালেও রাতে কোথায় যাবেন তার কোনও ঠিক নেই। কচুবেড়িয়ার কাছে ভেঙেছে মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ। বঙ্কিমনগর, সুমতি নগর এলাকায় ক্ষতি হয়েছিল আমফানেই। সেই বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফের ধাক্কা। ফলে বাজার, গ্রাম সবই জলে থৈ থৈ।