AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কংক্রিটের বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে বিপর্যস্ত ফ্রেজারগঞ্জের দুই গ্রাম, রাতে আরও বড় বিপদের শঙ্কা

জলের তোড়ে কার্যত ভেসে যাওয়া এই দু'টি গ্রামের নাম অমরাবতী ও লক্ষ্মীপুর বলে জানা যাচ্ছে।

কংক্রিটের বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে বিপর্যস্ত ফ্রেজারগঞ্জের দুই গ্রাম, রাতে আরও বড় বিপদের শঙ্কা
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: May 26, 2021 | 5:02 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইয়াসের তাণ্ডবে ঝড়-বৃষ্টি ঝোড়ো হাওয়া ও কিছু এলাকায় জল জমা বাদে বিশেষ কিছু হয়নি কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। কিন্তু রাজ্যের দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর পুরোপুরি বিপর্যস্ত। জলে প্রায় ডুবে গিয়েছে গঙ্গাসাগর। জেলার বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে ১৩৫ টির বেশি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ঠিক একই ভাবে বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের জল ঢুকে এ দিন লন্ডভণ্ড হয়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি গ্রাম।

অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ল্যান্ডফল শুরু হওয়ার আগে থেকেই এ দিন বাড়তে শুরু করেছিল সমুদ্রের জলস্তর। গতকাল রাত থেকেই ফুলেফেঁপে ওঠে সাগরের ঢেউ। কিন্তু জল বাড়তে বাড়তে সমুদ্রের জলস্তর এতটাই বেড়ে যায় যে ফ্রেজারগঞ্জের বাঁধ ভেঙে পড়ে। কংক্রিটের বাঁধ হওয়া সত্ত্বেও তার একটি বড় অংশ ভেঙে যায়। হুড়মুড়িয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে দু’টি গ্রাম কার্যত পুরোপুরি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলের তোড়ে কার্যত ভেসে যাওয়া এই দু’টি গ্রামের নাম অমরাবতী ও লক্ষ্মীপুর বলে জানা যাচ্ছে।

যদিও কিছুক্ষণ পর ভাটা এলে আবার ধীরে ধীরে জল নামতে শুরু করে। কিন্তু জলের যে তোড় গ্রাম দু’টিকে ধাক্কা মেরেছে, তাতে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, ভরা কোটালের মাঝে রাতের দিকে জোয়ার এলে ফের বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জল ঢুকে অনায়াসে দু’টি গ্রামকে ভাসিয়ে দিতে পারে। এমনকি, গ্রামগুলির বিভিন্ন জায়গায় ৩-৪ ফুট পর্যন্ত গর্ত তৈরি হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে যতক্ষণ না আজকের রাতটা কাটছে ততক্ষণ নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন: প্রথমে যাবেন সাগরে, এরপর পূর্ব মেদিনীপুরে, ইয়াসের বিপর্যয় বুঝতে লাগাতার বৈঠক মমতার

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ২৮ মে বন্যা বিপর্যস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন। যেহেতু আগামিকালও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, সেই কারণে তিনি একেবারে পরশুদিন আকাশপথে ত্রস্ত এলাকাগুলি খতিয়ে দেখতে যেতে চান। মমতা জানিয়েছেন, ইয়াসের আংশিক ধাক্কা পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছলেও একে প্রায় ১ কোটি মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন। প্রায় ৩ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা।

আরও পড়ুন: শুনশান গ্রামে বাঁচানোর কেউ ছিল না, জলের তোড়ে ভেসে গেলেন বৃদ্ধ