
কলকাতা: নবান্নে ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক চলছিল। বৈঠকের মধ্যেই ফোন মুখ্যমন্ত্রীর। শনিবার নবান্নে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে চলাকালীন ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্যোগ চলবে বাংলায়। জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথাও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না তাও নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি। ১২ ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট দিতে হবে তাঁকে, সে কথাও বলেন তিনি।
এদিন টেলিফোনিক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বাড়ি ঘর ভেঙে পড়ছে কি না খেয়াল রাখতে হবে। বাঁকুড়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, শনিবার সকালেই বাঁকুড়ায় বাকাদহে মাটির বাড়ি ভেঙে তিনজনের মৃত্যু হয়। তিনজনই নাবালক-নাবালিকা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পায়ে সংক্রমণের জন্য বাড়ি থেকে বেরোতে পারছি না।’ তবে বাড়ি থেকে না বেরোলেও সবই যে তাঁর নজরে রয়েছে, তাও বলেন তিনি। সে কথা জানিয়েই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় করণীয় স্থির করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বৃষ্টির মধ্যে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত যাতে না হয় তাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই দুর্যোগের কড়া পূর্বাভাস শুনিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুপুরের পর থেকে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি চলছে জেলায় জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতি ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। রবিবারও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে বিভিন্ন জায়গায়। আর বৃষ্টি মানেই ডেঙ্গিরও আরও বাড়বাড়ন্ত। এই মুহূর্তে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। জলবাহিত রোগও বাড়ছে। এই অবস্থায় প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ মমতার।