Arms Recovery: বাংলার ২ প্রান্তে ২ অভিযান! আর্মস ডিলারদের কালো কারবার ধরে ফেলল এসটিএফ

Bengal STF: পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীই ভিন রাজ্য থেকে অস্ত্র কিনত এবং তারপর সেগুলি এ রাজ্যে দুষ্কৃতীদের সাপ্লাই দিত। এই অস্ত্র ব্যবসার র‌্যাকেটের সন্ধান পেতে দুজনকেই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।

Arms Recovery: বাংলার ২ প্রান্তে ২ অভিযান! আর্মস ডিলারদের কালো কারবার ধরে ফেলল এসটিএফ
রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে সাফল্যImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

May 24, 2024 | 1:32 PM

বনগাঁ ও আসানসোল: রাজ্যের দুই প্রান্তে দুই সফল অভিযান রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের। গোপন সূত্র মারফত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় ও পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে বৃহস্পতিবার এক বিশেষ অভিযান চালান রাজ্যের এসটিএফের অফিসাররা। জোড়া অভিযানে উদ্ধার হয়েছে হাফ ডজন আগ্নেয়াস্ত্র। তার মধ্যে দুটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল ও চারটি পাইপগান। বনগাঁ ও আসানসোল মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে মোট ৫৭টি তাজা কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকেও।

গোপন সূত্র মারফত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বনগাঁ থানার অন্তর্গত বনস্পোতা এলাকায় এক বিশেষ অভিযান চালায় রাজ্যে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সেই অভিযানে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় জামাল মণ্ডল নামে বছর ছত্রিশের অস্ত্র ব্যবসায়ীকে। বনগাঁর বাসিন্দা ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক জোড়া সেভেন এমএম সেমি অটোমেটিক পিস্তল। পাওয়া গিয়েছে চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ, চারটি ম্যাগাজিন। ধৃত ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অস্ত্র আইনের যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি দ্বিতীয় অভিযানটি চলে আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত কালীপাহাড়ি এলাকায়। গোপন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেই অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে সাগির আনসারি নামে ৫৫ বছর বয়সি এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ব্যক্তি বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। ধৃতের থেকে চারটি পাইপগান বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর সংখ্যায় তাজা কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। সাগির আনসারির বিরুদ্ধেও আসানসোল দক্ষিণ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীই ভিন রাজ্য থেকে অস্ত্র কিনত এবং তারপর সেগুলি এ রাজ্যে দুষ্কৃতীদের সাপ্লাই দিত। এই অস্ত্র ব্যবসার র‌্যাকেটের সন্ধান পেতে দুজনকেই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।