
কলকাতা: বেটিং কেসে গ্রেফতার আরও এক। এর আগে খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের দুই কর্তা গ্রেফতার হয়েছিল। আকাশ দাস খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের টিম ম্যানেজার এবং রাহুল সাহা মিডিয়া ম্যানেজার খিদিরপুর স্পোটিং ক্লাবের গ্রেফতার করা হয়েছিল। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেলেঘাটা থেকে সুজয় ভৌমিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, সুজয় মূলত কলকাতা ময়দানে ফুটবলার সাপ্লাইয়ারের কাজ করেন। বিভিন্ন ক্লাবগুলোতে ফুটবলার নাম পেশ করতেন। কলকাতা লিগে খেলা বেশ কয়েকটি ক্লাবে ফুটবলার সাপ্লাই করতেন।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে, ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত সুজয় ভৌমিকের ছিল বাংলাদেশ পালানোর পরিকল্পনা। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সীমান্ত এলাকা থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সুজয় ভৌমিক। লালবাজার সূত্রে খবর, ম্যাচ ফিক্সিংয়ে ধরপাকড় শুরু হতেই সুজয় কলকাতা ছেড়ে অন্যত্র পালানোর পরিকল্পনা করেন।
২ নভেম্বর রাতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে দু’জন গ্রেফতার হয়েছে জানার পরেই কলকাতা থেকে গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা। মঙ্গলবার মাঝ রাতে বনগাঁর সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দারা।
বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্ত করছে ইডি। বেশ কয়েক জন অভিনেতা-অভিনেত্রীও এই মামলায় তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে। সেই দুর্নীতিতে নাম জড়ায় সৌরভ চন্দ্রকর এবং রবি উপ্পলের!