Bhabanipur Murder: মাথায় ব্যাটের বারি, মুখে লিউকোপ্লাস! ব্যবসায়ী খুনে পরতে পরতে নৃশংসতা
Bhawanipore: নিমতায় বন্ধুর বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় ভব্য লাখানির দেহ। দু'দিন আগে স্ত্রীকে বলে বেরিয়েছিলেন ব্যবসার কাজে বেরোচ্ছেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। ভবানীপুর থানায় স্ত্রী গিয়ে নিখোঁজসংক্রান্ত ডায়েরি করেন। এরপর বিডন স্ট্রিট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মোবাইল ফোন।

কলকাতা: ভবানীপুরের ব্যবসায়ী ভব্য লাখানির (৪৪) খুনের ঘটনায় চরম নৃশংসতার ছবি উঠে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। পুলিশ তদন্তে নেমে সাংঘাতিক সব তথ্য় হাতে পাচ্ছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, ভব্য লাখানিকে মারধরের পর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য চলে নারকীয় অত্যাচার করা হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তা ও সুমন দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনও পুলিশ সূত্রে খবর, দোষও স্বীকার করেছেন তাঁরা। ধৃতদের ২৭ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আলিপুর আদালতের।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ভব্যর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ব্যাট দিয়ে মাথায় নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। শুধু তাই নয়, মুখ বন্ধ করতে লিউকোপ্লাস লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী গলাতেও চাপ দেওয়া হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। মাথায়, গলায়, হাতের আঙুল, চোখের উপরে ও নাকে গভীর ক্ষত রয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, দেহ রাখার জন্য গর্ত তৈরি হয়েছিল তা ১০ ইঞ্চি চওড়া। চারদিকে ঢাকা দেওয়া ছিল এবং দেহ রেখে একটি পাঁচিল দিয়ে বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল।
নিমতায় বন্ধুর বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় ভব্য লাখানির দেহ। দু’দিন আগে স্ত্রীকে বলে বেরিয়েছিলেন ব্যবসার কাজে বেরোচ্ছেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। ভবানীপুর থানায় স্ত্রী গিয়ে নিখোঁজসংক্রান্ত ডায়েরি করেন। এরপর বিডন স্ট্রিট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মোবাইল ফোন। তারই সূত্র ধরে নিমতার বন্ধুর খোঁজ মেলে। সেই বাড়িতে পুলিশ যেতেই রহস্যভেদ!
বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে লাখানি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। বলেন, “পুলিশ সবরকম কড়া পদক্ষেপ করবে। সেই জন্য নিমতা থানা থেকে কেসটি লালবাজার হোমিসাইডকে দেওয়া হয়েছে।”





