Bikash Bhavan: ‘মাসিক বেতন ১৩,১৩৯ টাকা! দিনমজুরের থেকেও কম, তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামলাম’, আজ বিকাশভবন অভিযানে প্যারাটিচাররা

Bikash Bhavan: বুধবার পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষাবন্ধু, স্পেশাল এডুকেটর, এম‌এসকে, এস‌এসকে কর্মীদের অভিযান করেন। ২০২৪ সালের ১ মার্চ জারি হয়েছিল সরকারি আদেশ নামা। সেই আদেশনামা সংক্রান্ত ফাইল দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে অভিযান করেন তাঁরা।

Bikash Bhavan: মাসিক বেতন ১৩,১৩৯ টাকা! দিনমজুরের থেকেও কম, তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামলাম, আজ বিকাশভবন অভিযানে প্যারাটিচাররা
পার্শ্বশিক্ষিকাদের বিকাশভবন অভিযানImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 20, 2025 | 2:03 PM

কলকাতা: মঙ্গলবারই প্রাথমিকে নিয়োগের দাবিতে রাজপথ উত্তাল করেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের একটাই দাবি, ইন্টারভিউয়ের নোটিস বার করতে হবে।  এরপর তপ্ত হয়ে ওঠে করুণাময়ী চত্বর। চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েতে পুলিশি ধরপাকড়, তাঁদের টেনে হিঁচড়ে, চ্যাঙদোলা  করে প্রিজন ভ্যানে তোলা, ধস্তাধস্তি-তার সাক্ষী থেকেছে শহর। এবার বুধবার বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযান  শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের।

বুধবার পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষাবন্ধু, স্পেশাল এডুকেটর, এম‌এসকে, এস‌এসকে কর্মীদের অভিযান করেন। ২০২৪ সালের ১ মার্চ জারি হয়েছিল সরকারি আদেশ নামা। সেই আদেশনামা সংক্রান্ত ফাইল দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে অভিযান করেন তাঁরা। বিকাশভবন অভিযানে সামিল শিক্ষা দফতরের কর্মীরাও। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৮ সালের পর ৭ বছর কোন‌ও বেতন বাড়েনি সর্বশিক্ষা মিশনের পার্শ্বশিক্ষক-সহ শিক্ষাকর্মীদের।

বর্তমানে প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকরা বেতন পান ১০ হাজার টাকা,  উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন ১৪ হাজার টাকা,  শিক্ষাবন্ধু ৮০০০ টাকা। তাঁদের বক্তব্য, গত সাত বছরে একটা টাকাও বেতন বাড়েনি। এই টাকায় তাঁরা কীভাবে সংসার চালাবেন?

এমএসসি পাশ এক শিক্ষিকা বলেন, “এখন যে টাকাটা পাই, তাতে কিছুই হয় না। যাতে একটু বেতন বৃদ্ধি করে রাজ্য সরকার, তাই এই অনুরোধ। আমরা কোনও আন্দোলনে নেই, আমরা আবেদন জানাচ্ছি। আসলে মুখ্যমন্ত্রীই বলেছিলেন, করে দেবেন, সেটা যাতে দ্রুত হয়, তারই আবেদন জমা দেব। EPS কেটে আমরা হাতে পাই ১৩ হাজার ১৩৯, এটায় কি কিছু হয়? আমি ঢুকেছিলাম, একেবারে শুরুর দিকে, স্কুলে নিউট্রেশন ডিপার্টমেন্ট আরম্ভ করেছি।” আরেক শিক্ষিকা বলেন, “একটু ভালভাবে যাতে বাঁচতে পারি, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যাতে সমতা রেখে চলতে পারি, সেটাই মুখ্যমন্ত্রী একটু দেখুন। আমাদের তো ভদ্রভাবে একটু স্কুলে যেতে হয়, সবটা মিটিয়ে আর ভালভাবে সংসার চলছে না, তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হল।”

আরেক পার্শ্বশিক্ষিকা বলেন, “আমরা তো এখন জনমজুরের থেকেও কম বেতনে কাজ করছি। এই বেতনে আর চলছে না।”