
কলকাতা: অভিষিক্তার ঘটনার সূত্র ধরেই ট্যাংরায় দেহ উদ্ধার। সূত্রের খবর, এদিন সকালে অভিষিক্তার সামনে একটি চারচাকা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আহত হন দুই যুবক। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। জানা যায় তাঁদের নাম প্রসূন দে ও প্রণয় দে। সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে পুুলিশ বাড়ির ঠিকানা জানতে চায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁদের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়ে। সেই সূত্রে খোঁজ-খবর শুরু করতেই ট্যাংরার ঠিকানা জানা যায়। সেখানে পুলিশ গেলেই তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।
ঘটনার নেপথ্যে কী ভাইয়ে-ভাইয়ে দ্বন্দ্ব? নাকি অন্য কোনও রহস্য? জট খুলতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। পুরোদমে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে দুই ভাইকে। যদিও প্রতিবেশীরা বলছেন। ওই পরিবার দীর্ঘদিন থেকেই ট্যাংরায় রয়েছে। এলাকার লোকজনের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক। কী থেকে কী হয়ে গেল কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। এক প্রতিবেশী তো আবার বলছেন, বড় ভাইয়ের ছেলের অ্যাক্সিডেন্টের কথা। তাঁর কথায়, “দুই ভাইয়ের খুবই ভাল সম্পর্ক। খুব মিল ওদের মধ্যে। ওরা অনেকদিন থেকেই এই বাড়িতে থাকতো। আমরা তো আগে জানতাম না। ১০টা নাগাদ দেখছি ব্যাপক ভিড়। আমরা তারপরই আসি।”
তিনি আরও বলছেন, “দুই ভাইয়েরই সন্তান রয়েছে। শুনছি বড় ভাইয়ের ছেলে বাইপাসে অ্যাক্সিডেন্ট করেছেন। কোন সময় অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে জানি না। ছোট ছেলের মেয়ে শুনছি মারা গিয়েছে। এদের দুই ছেলে-মেয়েরই বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন দুই ভাইয়ের লেদারের ব্যবসা রয়েছে। সেই ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলার জেরেই কী এই খুন? ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও।