কলকাতা: দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন বিমান বসুর। বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে এই লম্বা সময় গিয়েছে। বহু পরিস্থিতি একেবারে হাতের তালুতে রেখে দেখেছেন তিনি। সেই কবে রাজনীতিতে আসা। ৮৩ পার করে এখন তিনি ৮৪। কিন্তু আজীবন সংগঠনেই থেকে গিয়েছেন। ৩৪ বছর তাঁর দল সিপিএম এ রাজ্যের সরকারে থাকলেও বিমান বসু কিন্তু সামলে গিয়েছেন ‘পার্টি পলিটিক্স’। কোনও দিন বিধায়ক-সাংসদ হওয়ার ইচ্ছা হয়নি? টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানালেন, ২৯ বছর বয়সে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার। রাজি তো হননি মোটে। বদলে বাংলা ছেড়ে চলে যাবেন ভেবেছিলেন এই বামনেতা।
বিমান বসু বলেন, “২৯ বছর বয়সে আমাকে বলা হয়েছিল বিধানসভায় প্রার্থী হতে হবে। সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই সময় আমি রাজস্থানে ছিলাম। আমি এসে বললাম একদম না। তখন জোরাজুরি করছিল। আমি বললাম আই উইল লিভ দিস বেঙ্গল। অন্য রাজ্যে চলে যাব। বোধহয় সেটা করলেই ভাল হতো।” কেন? বিমানবাবুর সংযোজন, “তাহলে কেউ জোর জবরদস্তি করতে পারত না।”
এরপর লোকসভা ভোটেও তাঁকে দাঁড় করাতে চেয়েছিল দল। বিমান বসু বলেন, “আবার ৮০ সালে আমাকে লোকভায় প্রার্থী হতে বলা হল। আমি তখনও বাংলায় ছিলাম না। বিদেশে ছিলাম। ব্যস! এসে বললাম না হবে না। আমাকে বলা হল, না তাতে সুবিধা হবে। আমি তখন বললাম, সুবিধা হবে যদি কেউ বলে থাকে আমি প্রচারের কাজ করব। তাতেও সুবিধা হবে। আমাকে তো রাজ্যসভাতেও পাঠানোর কথা বলেছিল। কিন্তু ওসবের দরকার নেই আমার। আছেন তো অন্য কমরেডরা। তাঁরা করবেন। আমি পারব না।”
কলকাতা: দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন বিমান বসুর। বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে এই লম্বা সময় গিয়েছে। বহু পরিস্থিতি একেবারে হাতের তালুতে রেখে দেখেছেন তিনি। সেই কবে রাজনীতিতে আসা। ৮৩ পার করে এখন তিনি ৮৪। কিন্তু আজীবন সংগঠনেই থেকে গিয়েছেন। ৩৪ বছর তাঁর দল সিপিএম এ রাজ্যের সরকারে থাকলেও বিমান বসু কিন্তু সামলে গিয়েছেন ‘পার্টি পলিটিক্স’। কোনও দিন বিধায়ক-সাংসদ হওয়ার ইচ্ছা হয়নি? টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানালেন, ২৯ বছর বয়সে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার। রাজি তো হননি মোটে। বদলে বাংলা ছেড়ে চলে যাবেন ভেবেছিলেন এই বামনেতা।
বিমান বসু বলেন, “২৯ বছর বয়সে আমাকে বলা হয়েছিল বিধানসভায় প্রার্থী হতে হবে। সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই সময় আমি রাজস্থানে ছিলাম। আমি এসে বললাম একদম না। তখন জোরাজুরি করছিল। আমি বললাম আই উইল লিভ দিস বেঙ্গল। অন্য রাজ্যে চলে যাব। বোধহয় সেটা করলেই ভাল হতো।” কেন? বিমানবাবুর সংযোজন, “তাহলে কেউ জোর জবরদস্তি করতে পারত না।”
এরপর লোকসভা ভোটেও তাঁকে দাঁড় করাতে চেয়েছিল দল। বিমান বসু বলেন, “আবার ৮০ সালে আমাকে লোকভায় প্রার্থী হতে বলা হল। আমি তখনও বাংলায় ছিলাম না। বিদেশে ছিলাম। ব্যস! এসে বললাম না হবে না। আমাকে বলা হল, না তাতে সুবিধা হবে। আমি তখন বললাম, সুবিধা হবে যদি কেউ বলে থাকে আমি প্রচারের কাজ করব। তাতেও সুবিধা হবে। আমাকে তো রাজ্যসভাতেও পাঠানোর কথা বলেছিল। কিন্তু ওসবের দরকার নেই আমার। আছেন তো অন্য কমরেডরা। তাঁরা করবেন। আমি পারব না।”