কলকাতা: দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। এমনকি রাজ্যের পুলিশ অফিসার থেকে শিক্ষা পর্ষদের কর্তাদেরও তদন্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই তদন্তকে কেন্দ্র সরকারের চক্রান্ত বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি নজর ঘোরাতে বাম আমলে চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। সেই অভিযোগের প্রসঙ্গেই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি সাফ জানিয়েছেন, যদি কারও মনে হয়, বাম আমলে দুর্নীতি হয়েছে। তাহলে আদালতে মামলা ঠুকুন। তার পর দেখা যাক তৃণমূলের ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রমাণিত হয় কি না।
নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে তৃণমূল বাম আমলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নজর ঘোরাতে চাইছে বলে মতক বিমানের। তৃণমূল আমলে দুর্নীতির তদন্তের প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, “সিবিআই, ইডি তদন্ত করতে এসেছে তো মামলার ভিত্তিতে। সেই মামলার সমাধান করার জন্য এদের ডেকেছে আদালত। কী হয়েছে তা বার করার জন্য তদন্তে নেমেছে।” এর পরই গর্জে উঠেছেন বিমান বসু। বামফ্রন্ট শাসনের বিরুদ্ধে যাঁরা দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন তাঁদের উদ্দেশে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিমান বসু বলেছেন, “এখন যাঁরা বামফ্রন্টের আমল নিয়ে নানা কথা বলছেন, তাঁদেরকে আমি অনুরোধ করছি- আপনারা মামলা ঠুকুন। মামলা ঠুকে ইডি, সিবিআই নিয়ে আসুন। তাহলে ষোলোকলা পূর্ণ হবে। এখন বাজার গরম করার চেষ্টা করছন। তখন তথ্যের ভিত্তিতে সত্য উঠে আসবে।”
এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে শ্বেতপত্রের কথা। তৃণমূল দলীয় ভাবে বার বার বাম আমলের বিভিন্ন দু্র্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের কথা বলেছে। এই প্রশ্নের জবাবে বিমান বসু বলেছেন, “শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। যে যে কথা গুলি বলছে, সেই কথার ভিত্তিতে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। যে যে ক্ষেত্রে কেন্দ্র বঞ্চনার কথা বলা হচ্ছে, সেই বিষয়গুলিতেও শ্বেতপত্র প্রকাশ হোক। এক, দুই করে হেডার দিয়ে প্রকাশ করুক। তাহলে হোয়াট ইজ হোয়াট তা সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হবে।”