
কলকাতা: ফের আধার প্রতারণা। আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক জালিয়াতিতে ৪৬ হাজার টাকা খোয়ালেন মহেশতলার এক প্রৌঢ়। মহেশতলার বাটানগরের মণীন্দ্রচন্দ্র ভাওয়াল। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেই খোওয়া গিয়েছে ৪৬ হাজার টাকা। মণীন্দ্রচন্দ্র ভাওয়ালের অভিযোগ, বায়োমেট্রিক ক্লোন করে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা তুলে নিয়েছে। মণীন্দ্রচন্দ্র ভাওয়ালের মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস এসেছিল। তাতেই তিনি জানতে পারেন, দু’টি পৃথক অ্যাকাউন্টে এই টাকা গিয়েছে। সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে দুই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ৪৬ হাজার টাকা গিয়েছে। পরবর্তীকালে মণীন্দ্রবাবু ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন। অ্যাকাউন্টটি লক করে দেন।
মণীন্দ্রচন্দ্র ভাওয়াল বলেন, ব্যাঙ্ক থেকে বলা হয় আধার কার্ডের বায়োমেট্রিকের মাধ্যমেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এরপর মহেশতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। মণীন্দ্রবাবু জানান, কয়েক মাস আগে আলিপুরে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে বায়োমেট্রিক করেছিলেন। রেশন দোকানে গিয়েও আঙুলের ছাপ দিয়েছিলেন। কোথা থেকে যে টাকা খোয়ালেন বুঝেই উঠতে পারছেন না মহেশতলার ওই প্রৌঢ়।
আধার জালিয়াতিতে হাজার হাজার, এমনকী লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত খোয়াচ্ছেন সাধারণ গ্রাহক। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। ফোনে ব্যাঙ্কের মেসেজ আসলেই আতঙ্কে থাকছেন সাধারণ গ্রাহক। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফে রাজ্যের অর্থসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের আবেদন, দলিল ডাউনলোড করার সময় যে আঙুলের ছাপ দেখা যায়, তা যেন অদৃশ্য থাকে। অর্থাৎ আঙুলের ছাপ মাস্কিংয়ের কথা বলা হয়েছে।