Firhad Hakim: ‘যা খুশি তাই খরচ করা হচ্ছে’, পুরনিগমের অপব্যয় নিয়ে সরব BJP কাউন্সিলর, পাল্টা ফিরহাদ দায় ঠেললেন কেন্দ্রের দিকে

Sayanta Bhattacharya | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 23, 2025 | 1:58 PM

Firhad Hakim: সূত্রের খবর, এদিন বিশেষ করে মীনা দেবী পুরোহিতের সঙ্গে পুরনিগমের অধিবেশনের মধ্যেই তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন মেয়র। বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত প্রশ্ন তোলেন, প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ জন কর্মী টাকা পাচ্ছেন না। অথচ, পুরনিগম থেকে অন্যান্য খাতে যা খুশি তাই খরচ করা হচ্ছে।

Firhad Hakim: ‘যা খুশি তাই খরচ করা হচ্ছে’, পুরনিগমের অপব্যয় নিয়ে সরব BJP কাউন্সিলর, পাল্টা ফিরহাদ দায় ঠেললেন কেন্দ্রের দিকে
ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের পুরমন্ত্রী
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ১০০ দিনের কর্মীদের তিন মাস মজুরি বকেয়া স্বীকার করেও কেন্দ্রের উপরে দায় চাপালেন মেয়র। পাল্টা পুরনিগমের অপব্যয় নিয়ে সরব হওয়ায় অধিবেশনে বিজেপি কাউন্সিলরের সঙ্গে বচসা ফিরহাদের। বিগত তিন মাস ধরে মজুরি নেই কলকাতা পুরনিগমের ১০০ দিনের কর্মীদের। সেই বিষয়টি উত্থাপন করে কলকাতা পৌরনিগমের অধিবেশনে প্রশ্ন করেন, প্রস্তাব আনেন ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ষীয়ান বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত। পুরনিগমের অপব্যয় নিয়েও সরব হন। আর তাতেই শুরু হয়ে যায় কাজিয়া। পাল্টা মেয়রের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিরোধী দলের কাউন্সিলররা। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, প্রতিমাসে ১০০ দিনের কর্মীদের মজুরি বাবদ ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা পুরনিগমের ভাঁড়ার থেকে ব্যয় করা হয়। এখন সেখানেই টান।

সূত্রের খবর, এদিন বিশেষ করে মীনা দেবী পুরোহিতের সঙ্গে পুরনিগমের অধিবেশনের মধ্যেই তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন মেয়র। বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত প্রশ্ন তোলেন, প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ জন কর্মী টাকা পাচ্ছেন না। অথচ, পুরনিগম থেকে অন্যান্য খাতে যা খুশি তাই খরচ করা হচ্ছে। পাল্টা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলে ওঠেন, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে কলকাতা পৌরসভার অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে। আগে প্রধানমন্ত্রীকে বলুন টাকা ছাড়তে, তাহলে বকেয়া সব মিটিয়ে দেব। পাল্টা ছেড়ে কথা বলেনি বিজেপিও। 

তেতে ওঠে অধিবেশন 

বিজেপি কাউন্সিলর দাবি করেন, ১০০ দিনের টাকার সঙ্গে কেন্দ্রের বকেয়ার কোন সম্পর্ক নেই। পাল্টা ফিরহাদ হাকিম নিজের তত্ত্বে অনড় থেকে আক্রমণের ধার আরও বাড়ান। এরইমধ্যে আবার ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি তোলেন মীনা দেবী। তখন ফিরহাদ বলেন, কোথাও কোথাও কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা (কেন্দ্রীয় প্রকল্প) বন্ধ করে রেখেছে। উত্তরপ্রদেশে বাংলার থেকে বেশি অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু, সেখানে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। এরপরই মীনা দেবীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকা আনার ব্যবস্থা করুন। মজুরি দ্বিগুণ করে দেব।” এমনকী, বকেয়া অর্থের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিতকে চিৎকার করে ইস্তফা দিতে বলেন মেয়র। বলেন, বকেয়া অর্থর জন্য এই সঙ্কট যদি সত্যি হয় তাহলে আপনি ইস্তফা দেবেন, যদি মিথ্যা কথা হয় তাহলে আমি ইস্তফা দেব। এদিকে সূত্রের খবর, পুরনিগমের অধিবেশনে তিনজন বিজেপি কাউন্সিলরের মধ্যে মাত্র একজন উপস্থিত ছিলেন। 

মেয়র যদিও শেষে নিজের বক্তব্যে ফের একবার দাবি করেন, “১০০ দিনের কাজের টাকা অনেকটাই বকেয়া। এটা সত্যিই সমস্যার। সময়মতো টাকা না পাওয়ায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “মজুরি সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো নিয়ে কিছু প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হয়েছিল। তবে ইতিমধ্যে অর্থ দফতর টাকা ছেড়ে দিয়েছে। আশা করছি, আগামী তিনদিনের মধ্যে কর্মীরা তাঁদের টাকা পেয়ে যাবেন বলে তিনি জানান।”