কলকাতা: সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনটাই মনে হচ্ছে বেশ হাইভোল্টেজ হতে চলেছে। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপি যখন সোমবার কলকাতা পুরসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ তখন সর্বত ভাবে সেই অভিযান রুখতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই তারা জানিয়ে দিয়েছে, অতিমারি আবহে কোনও জমায়েতে অনুমতি দেওয়া হবে না। তবু অনুমতি না দিলেও বিজেপির ‘গা জোয়ারি’র সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য সভাপতি নিজেই সে কথা জানিয়েছেন রবিবার। এরপরই অনুমতিহীন জমায়েত রুখতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রে খবর, বিজেপির পুরসভা অভিযানে অনুমতি না দিলেও প্রস্তুত থাকছে কলকাতা পুলিশ। এখনও অবধি যা খবর, তাতে একজন অ্যাডিশনাল সিপি (এডিসিপি) পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে তৈরি রাখা হচ্ছে দল। দায়িত্বে থাকছেন দু’জন জয়েন্ট সিপি, আটজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হবে রাজপথে। থাকবে পর্যাপ্ত ব্যারিকেডের ব্যবস্থাও।
রবিবারই কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি হেড কোয়ার্টারের তরফে জানানো হয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে কলকাতা পুলিশ এই মুহূর্তে কোনও রকম রাজনৈতিক জমায়েতে অনুমতি দিতে পারে না। সাধারণ মানুষের জীবনের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিতেই হয়েছে। বিজেপিকেও এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বিজেপি আদৌ সে নিষেধ মানবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উস্কে দিয়েছেন খোদ দলের রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ রবিবারই বলেছেন, সোমবার নির্ধারিত সময় মেনেই মিছিল হবে। বিজেপি মানুষের কথা ভেবে, মানুষের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে। দুপুর ১টায় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে হিন্দ সিনেমার সামনে থেকে জমায়েত হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, অতিমারির সঙ্কটকালে পুলিশি অনুমতি পাওয়া যে মোটে সহজ হবে না তা ভালই আন্দাজ করেছিল পদ্মশিবির। তাই ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে এই পুরসভা অভিযান হতে পারে বলেও বিজেপি সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের তবসসুম টিকা দিয়েছিলেন যাকে, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সেই মহিলা! তুলেছেন বিস্ফোরক অভিযোগও
তবে কলকাতা পুলিশও যে খুব হালকা ভাবে এই জমায়েতকে নেবে না তা স্পষ্ট। সে কারণেই বিরাট বাহিনী তৈরি থাকছে। কোনও রকম বিশৃঙ্খলার চেষ্টা কিংবা শান্তি নষ্টের উস্কানি এলে তা যে কঠিন হাতেই প্রতিহত করা হবে, কলকাতা পুলিশের প্রস্তুতিপর্ব দেখে তা ভালই বোঝা যাচ্ছে।