কলকাতা: মাদক যোগে অভিযুক্ত রাকেশ সিং (BJP Leader Rakesh Singh)’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ভুবনেশ্বর হয়ে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বিজেপি নেতা। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকেই তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় গলসি থানায়। মঙ্গলবারই তাঁকে কলকাতায় আনা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গলসির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন কলকাতা পুলিশের একটি দল।
এদিন সন্ধেবেলা বিজেপি নেতার বাড়িতে যায় কলকাতা পুলিশের একটি দল। তবে তাঁর বাড়িতে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেয় সিআইএসএফ। প্রয়োজনে রাকেশ সিংয়ের বাড়ির দরজা ভাঙার জন্য হাতুড়ি, শাবল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত হয় পুলিশ। তবে সেরকম কোনও পদক্ষেপ করতে হয়নি। আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর সাত জন পুলিশকে ভিতরে ঢুকতে দিতে বাধ্য হন তাঁরা। এরপরই সন্ধেবেলা বিজেপি নেতার দুই ছেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রাকেশ সিংয়ের সন্ধান পায় পুলিশ। তারপর এই গ্রেফতারি। আজই রাকেশকে পূর্ব বর্ধমান থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, ড্রাগ কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর (Pamela Goswami) মুখে বারবার উঠে এসেছে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা রাকেশ সিংয়ের নাম। গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম যেদিন পামেলাকে আদালতে তোলা হয়, সেই সময় তিনি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বারবার ২০১৮ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলেছিলেন। এরপর লালবাজারের তরফে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট মামলায় ফৌজদারি আইনের ১৬০ ধারায় রাকেশকে সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসা করতে চান। এর ভিত্তিতে রাকেশ সিংয়ের কাছে নোটিস পাঠান লালবাজারের কর্তারা। কিন্তু মঙ্গলবার তিনি ইমেলে করে গোয়েন্দাদের জানান, তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন।
সূত্রের খবর, ধৃত রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে অতীতে পঞ্চাশটির বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যদিও এদিন বিজেপি নেতার গ্রেফতারিকে দলের রাজ্য নেতৃত্ব ষড়য়ন্ত্রমূলক পদক্ষেপ বলে অভিযোগ করছে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। যেভাবে পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাকেশের ছেলেদের গ্ৰেফতার করা হল তা চম্বলের ডাকাত ধরার কথা মনে করিয়ে দেয়।” জোর করে রাকেশকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়়ুন: মাদক কাণ্ডে রাকেশ সিং-এর বাড়িতে ঢুকতে বাধা লালবাজারের কর্তাদের
যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য রাকেশের দুই ছেলেকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে রাকেশে সিংয়ের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নয়, এটা মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক মামলার তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারি।” তিনি যোগ করেন, পামেলা বিজেপি নেত্রী হয়ে নিজেই দলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এর সঙ্গে বিজেপি যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন তা উড়িয়ে দেন তৃণমূল মুখপাত্র।
কলকাতা: মাদক যোগে অভিযুক্ত রাকেশ সিং (BJP Leader Rakesh Singh)’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ভুবনেশ্বর হয়ে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বিজেপি নেতা। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকেই তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় গলসি থানায়। মঙ্গলবারই তাঁকে কলকাতায় আনা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গলসির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন কলকাতা পুলিশের একটি দল।
এদিন সন্ধেবেলা বিজেপি নেতার বাড়িতে যায় কলকাতা পুলিশের একটি দল। তবে তাঁর বাড়িতে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেয় সিআইএসএফ। প্রয়োজনে রাকেশ সিংয়ের বাড়ির দরজা ভাঙার জন্য হাতুড়ি, শাবল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত হয় পুলিশ। তবে সেরকম কোনও পদক্ষেপ করতে হয়নি। আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর সাত জন পুলিশকে ভিতরে ঢুকতে দিতে বাধ্য হন তাঁরা। এরপরই সন্ধেবেলা বিজেপি নেতার দুই ছেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রাকেশ সিংয়ের সন্ধান পায় পুলিশ। তারপর এই গ্রেফতারি। আজই রাকেশকে পূর্ব বর্ধমান থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, ড্রাগ কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর (Pamela Goswami) মুখে বারবার উঠে এসেছে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা রাকেশ সিংয়ের নাম। গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম যেদিন পামেলাকে আদালতে তোলা হয়, সেই সময় তিনি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বারবার ২০১৮ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলেছিলেন। এরপর লালবাজারের তরফে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট মামলায় ফৌজদারি আইনের ১৬০ ধারায় রাকেশকে সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসা করতে চান। এর ভিত্তিতে রাকেশ সিংয়ের কাছে নোটিস পাঠান লালবাজারের কর্তারা। কিন্তু মঙ্গলবার তিনি ইমেলে করে গোয়েন্দাদের জানান, তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন।
সূত্রের খবর, ধৃত রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে অতীতে পঞ্চাশটির বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যদিও এদিন বিজেপি নেতার গ্রেফতারিকে দলের রাজ্য নেতৃত্ব ষড়য়ন্ত্রমূলক পদক্ষেপ বলে অভিযোগ করছে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। যেভাবে পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাকেশের ছেলেদের গ্ৰেফতার করা হল তা চম্বলের ডাকাত ধরার কথা মনে করিয়ে দেয়।” জোর করে রাকেশকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়়ুন: মাদক কাণ্ডে রাকেশ সিং-এর বাড়িতে ঢুকতে বাধা লালবাজারের কর্তাদের
যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য রাকেশের দুই ছেলেকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে রাকেশে সিংয়ের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নয়, এটা মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক মামলার তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারি।” তিনি যোগ করেন, পামেলা বিজেপি নেত্রী হয়ে নিজেই দলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এর সঙ্গে বিজেপি যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন তা উড়িয়ে দেন তৃণমূল মুখপাত্র।