Sajal attacks Kunal : ‘মিথ্যা কথা বলছেন, ফোনে কথা বলা ভুল হয়েছে’, কুণালকে তোপ সজলের

Sajal attacks Kunal : সজল ঘোষের আরও দাবি, দলে জায়গা পোক্ত করতেই এসব করছেন কুণাল ঘোষ। সেই কারণেই উনি মিঠুন চক্রবর্তী ভাল অভিনেতা নাকি পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল অভিনেতা এসব দেবকে শেখাচ্ছেন। নতুন শিক্ষক হয়ে উঠছেন।

Sajal attacks Kunal : 'মিথ্যা কথা বলছেন, ফোনে কথা বলা ভুল হয়েছে', কুণালকে তোপ সজলের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2022 | 8:21 PM

কলকাতা: “উনি মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর তো লোকে ওনাকে সামাজিকভাবে বয়কট করবে।” বিতর্কের আবহেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) এ ভাষাতে আক্রমণ করলেন বিজেপি (BJP) নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই এক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। যেখানে দু’জনের মধ্যে কী কথা হয় তা নিয়ে বাড়ে চাপানউতর। এরপর আবার দু’জনের টেলিফোনে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ওই অডিও ক্লিপের বক্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে সজল ঘোষের। যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। আর এই অডিও ক্লিপের বক্তব্য নিয়ে বৃহস্পতিবার কুণালকে আক্রমণ করলেন সজল। একইসঙ্গে কুণালের সঙ্গে কথা বলার জন্য সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দলীয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের কাছে ক্ষমাও চাইলেন। 

সজলের বক্তব্য, “এর আগে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ একটা জায়গায় বসেছিলেন। সেখানে কুণাল ঘোষ গিয়েছিলেন। এরকম তো হয়। সেই ছবি ছেড়ে যাঁরা রাজনীতি করেন তাতে আর কিছু বলার নেই। এমনকী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উনি আমার মন্তব্যও জুড়ে দিয়েছেন। আমি কী বলেছি সেটাও উনি বলেছেন। যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল। আমাকে গঙ্গা স্নান করতে হয়েছে রাতে। কিন্তু ও যা করছে এরপর তো সামাজিকভাবে বয়কট করবে লোকে। কেউ নিমন্ত্রণ করলে তো এরপর জেনে নিতে হবে এরকম লোক আসছে কি না।” 

কিন্তু, চর্চার কেন্দ্রবিন্দুকে থাকা অডিও ক্লিপ নিয়ে কী বলছেন সজল? বিজেপি নেতার সাফ উত্তর তিনি কোনও দলবিরোধী কথা বলেননি। তিনি বলেন, “ওই দিনের আলোচনার দুদিন পর এক সংবাদমাধ্যমের কর্মী আমাকে ফোন করেন। সেখানেই ফোনে ফের কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা হয়। এটাই আমার ভুল। বিজেপি কর্মী ও নেতৃত্বের কাছে আমি এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এটা আর হবে না।” তাহলে কেন এসব করছেন কুণাল ঘোষ? সজলের উত্তর, “ওনার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের ছিল। আমি তৃণমূল থেকে বেরিয়ে গিয়েছি, এটা উনি মেনে নিতে পারছেন না। ওই দিনের আলোচনার সময় কুশল বিনিময়ের পর উনি কিছু দুঃখের কথা বলেছেন। এরপর তা বিভিন্ন সংসবাদ মাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে।” সজলের আরও দাবি, দলে জায়গা পোক্ত করতেই এসব করছেন কুণাল। সে কারণেই উনি মিঠুন চক্রবর্তী ভাল অভিনেতা নাকি পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল অভিনেতা এসব দেবকে শেখাচ্ছেন। নতুন শিক্ষক হয়ে উঠছেন।