Governor: রাজভবনে হাজির বালেশ্বরের BJP সাংসদ, কী কথা হল দু’জনের?

এ দিন, বিজেপি সাংসদ জানান, তিনি দুর্গাপুরে ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে (যে কলেজে নির্যাতিতা পড়েন) গিয়েছিলেন। তাঁকে পুলিশের তরফে বাধা দেওয়া হয়। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে পুলিশের এই ভূমিকা তিনি প্রত্যাশা করেননি। সেই বিষয়টিই রাজ্যপালকে এ দিন জানিয়েছেন তিনি।

Governor: রাজভবনে হাজির বালেশ্বরের BJP সাংসদ, কী কথা হল দুজনের?

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 15, 2025 | 6:18 PM

কলকাতা: ওড়িশার মহিলা কমিশনের পর এবার বাংলায় এলেন সেখানকার বিজেপি সাংসদ। দুর্গাপুর ইস্যুতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda) সঙ্গে কথা বলতে বালেশ্বর থেকে রাজভবনে হাজির সাংসদ প্রতাপ ষড়ঙ্গী। বস্তুত, ওড়িশা থেকে বাংলায় পড়তে আসা ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বাংলায় আসে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রতাপ ষড়ঙ্গী।

এ দিন, বিজেপি সাংসদ জানান, তিনি দুর্গাপুরে ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে (যে কলেজে নির্যাতিতা পড়েন) গিয়েছিলেন। তাঁকে পুলিশের তরফে বাধা দেওয়া হয়। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে পুলিশের এই ভূমিকা তিনি প্রত্যাশা করেননি। সেই বিষয়টিই রাজ্যপালকে এ দিন জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর বক্তব্য, বাংলায় যে তিনি আসছেন সে কথা আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনকে। তারপরও তাঁকেও আটকানো মোটেই সমীচীন নয়। কিন্তু সেই কাজই রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আগেই চিঠি দিয়েছিলাম যে এখানে আসছি। আর যদি চিঠি নাও বা দিই, আমি তো ২০ থেকে ২৫ লক্ষ মানুষের জনপ্রতিনিধি। আমায় আটকানো অসাংবিধানিক। আমি কালকেই বলেছি, আমরা দশ জন যাব। কিন্তু প্রোটোকলের অজুহাত দেখাচ্ছে। আর আমি তো নির্যাতিতা যেখানে থাকেন, সেই সংসদীয় এলাকার জনপ্রতিনিধি। আমার কর্তব্য রয়েছে একটা। মেয়েটির বাবাও পুলিশকে অনুরোধ করেছে যাতে দেখা করতে দেওয়া হয়।

প্রতাপ ষড়ঙ্গী এও বলেছেন যে, দুর্গাপুরের এই ঘটনার পর যা যা হয়েছে, যে সকল অভিযোগ-অনুযোগ উঠছে সবটাই রাজ্যপাল রিপোর্ট আকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানানো হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, এই নির্যাতিতা তাঁর সংসদীয় এলাকার বাসিন্দা। সেই কারণে জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর কর্তব্য নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করা।

তিনি বলেন, “আমি গিয়ে দেখলাম মেয়েটি ডিপ্রেশনে আছে। আমি ওঁকে ভরসা দিয়েছি। আমি ওঁকে মহাভারত শুনিয়েছি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “আর ডাক্তারও আমায় হয়ত সত্যতা বলেনি। তবে মিডিয়ার ভূমিকা ভাল। আজ পুলিশ বলছে, গণধর্ষণ হয়নি। ধর্ষণ হয়েছে। নির্যাতিতাকে হয়ত চাপে রেখেছে। আমরা চইছি চাপমুক্ত করা হোক। আর যাদের ধরেছে তারা আদৌ অপরাধী নাকি বলির পাঠা কাউকে বানানো হয়েছে সেটাও জানার প্রয়োজন আছে।”