তবে কি এই কারণে পুরনো দলে ফিরতে ইচ্ছে করছে রাজীবের? টুইট-কটাক্ষ সৌমিত্রর

রাজীবের এই ফেসবুক পোস্ট তাঁর ঘর ওয়াপসির জল্পনাও উস্কে দিয়েছে। এই সমস্ত ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই এ বার দু'টি বিস্ফোরক টুইট করেছেন সৌমিত্র।

তবে কি এই কারণে পুরনো দলে ফিরতে ইচ্ছে করছে রাজীবের? টুইট-কটাক্ষ সৌমিত্রর
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 08, 2021 | 8:59 PM

কলকাতা: তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে রাজনৈতিক তরজা। বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি ঠিকই। কিন্তু চুপ নেই বিজেপির আরেকাংশ। তাঁর এ দিনের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নিয়ে টুইটে তোপ দেগেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ঘটনাচক্রে যিনি নিজেও তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। অন্যদিকে গোটা বিতর্ক নিয়ে এ বার মুখ খুলতে শুরু করেছে শাসকদলও।

প্রথমে শুভ্রাংশু রায়, এবং এ বার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই চর্চিত নেতার ফেসবুক পোস্ট বেজায় অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। মুকুল-পুত্র প্রথমে ‘আত্মসমালোচনা’ করার কথা বলেছিলেন। রাজীব এ দিন কার্যত বিপুল ভোটে জিতে আসা শাসকদলের সমালোচনা এবং ‘৩৫৬ ধারার জুজু’ দেখানোর থেকে বিরত থাকার কথা বলেন। যা প্রকৃতপক্ষে বাকি বিজেপি নেতাদের পুরোপুরি উল্টো সুর। রাজীবের এই ফেসবুক পোস্ট তাঁর ঘর ওয়াপসির জল্পনাও উস্কে দিয়েছে। এই সমস্ত ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই এ বার দু’টি বিস্ফোরক টুইট করেছেন সৌমিত্র। তাঁর প্রশ্ন, “মন্ত্রী হতে পারেননি বলেই কি আবার পুরনো দলে ফিরতে ইচ্ছে করছে রাজীবের?”

এ দিন এক টুইটে বিষ্ণুপুরের সাংসদ রাজীবের মন্তব্য উদ্ধৃত করে লেখেন, “৪২ হাজার ভোটে হারার পর মনে পড়ল? বিজেপির ৪২ জনের বেশি কর্মী মারা গিয়েছে, তখন চুপ থাকা মানে শাসকদলকে সমর্থন করা।” রাজীব লিখেছিলেন, “এই সময় ইয়াস ও কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের পাশে থাকা উচিত।” সেই প্রসঙ্গ টেনেও সৌমিত্র লিখেছেন, “মোদী সরকার করোনার জন্য ফ্রি ভ্যাকসিন, অক্সিজেন দিয়ে সাহায্য করেছে। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের জন্য রাজ্যকে ৪০০ কোটির সাহায্য করা হয়েছে রাজ্যকে।” প্রসঙ্গত, এ ক্ষেত্রে সৌমিত্র যেন কিছুটা শুভেন্দুর সুরেই কথা বলেছেন। দিল্লিতে এ দিন রাজীব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আগে ঘরছাড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”

আরও পড়ুন: ‘৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে….’, ফেসবুকে বিস্ফোরক রাজীব, বাড়ল ঘর ওয়াপসির জল্পনা

তৃণমূলও চুপ নেই। রাজীবের ভোলবদলের পর তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত যদিও তৃণমূল নেত্রীই নেবেন। তবে কর্মীরা আদৌ রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থাকছে। হাওড়ার তৃণমূল নেতা অরূপ রায় এই নিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড়ের সভায় এসে ওর মুখোশ খুলে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই ৪০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই হাওড়ার তৃণমূল কর্মীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন রাজীবের বিরুদ্ধে। কর্মীরা যা বলবে তাই হবে।”

আরও পড়ুন: উগ্র হিন্দুত্বে আপত্তি, বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নন রাজীব!