
সল্টলেক: নির্দল হয়ে ভোটে লড়ে বিজেপিকে হারিয়েছেন। এক মাস না ঘুরতেই সেই নবেন্দু সুন্দর নস্কর হলেন বিজেপির জেলা সভাপতি। দলের বিরুদ্ধে লড়া প্রার্থীকে ‘শাস্তি’র বদলে ‘উপহার’? এই প্রশ্ন তুলেই মঙ্গলবার সোজা সল্টলেকে বঙ্গ বিজেপির সদর দফতরে হাজির হলেন মথুরাপুরের বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে নবেন্দুকে। নবেন্দু যে ভোটগুলি পেয়েছেন, সেগুলি পেলে বিজেপি প্রার্থী জিতে যেতে পারতেন! দলের ক্ষতি করা সত্ত্বেও কেন তাঁকে এভাবে পদ দেওয়া হল? তা নিয়েই বিতর্ক চরমে। নবেন্দুর জেলা সভাপতি হওয়াকে আপাতত ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলেই উল্লেখ করেছে রাজ্য নেতৃত্ব।
সম্প্রতি মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি হয়েছেন নবেন্দু। বিক্ষুব্ধ প্রার্থী হয়ে জোড়া পাতা চিহ্নে তিনি লড়েন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। এদিক, দলের তরফে যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল তিনি ২৪ ভোটে হেরে যান নবেন্দুর কাছে। বিজেপিকে হারানো প্রার্থীকে জেলা সভাপতি হিসেবে মানা হবে না। এই দাবিতেই সল্টলেকের অফিসে চড়াও হয়েছেন মথুরাপুরের বিজেপি কর্মীরা। রীতিমতো মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, তাঁকে ঘিরে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন ওই বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। পরে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন শমীক। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, নবেন্দুকে দল থেকে বহিষ্কার করা না হলে এই অবস্থান চলতে থাকবে। কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বিজেপি অফিসের সামনে।
উল্লেখ্য, ভোটের আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, দলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়লে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মীদের প্রশ্ন, তাহলে নবেন্দুর ক্ষেত্রে কেন অন্যথা হল? ইতিমধ্যেই এই অভিযোগ জানিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছে বিজেপির একাংশ।
এ বিষয়ে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টা দেখছে। তাঁর দাবি, ভোটের আগে প্রার্থীর অসুবিধা থাকায় নবেন্দু মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। পরে প্রার্থী এলেও আর মনোনয়ন তোলার সময় ছিল না। সে কারণেই নবেন্দু নির্দলে লড়েন।