Dipankar Bhattacharya: তৃণমূল বনাম বিজেপি থাকলে গেরুয়া শিবিরের বাংলা দখল ঠেকানো কঠিন: লিবারেশনের দীপঙ্কর
Dipankar Bhattacharya on TMC-BJP: বিহারের নির্বাচনে এনডিএ-র জয় জয়কার। উৎফুল্ল হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। আর এই বিহার জয়ের পর বাংলা থেকেও 'জঙ্গলরাজ' সরাবেন বলে দাবি করেন তিনি। একই হুঁশিয়ারি বাংলার গেরুয়া নেতাদেরও। অঙ্গ-কলিঙ্গের পর বঙ্গ দখলের বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। দীপঙ্কর বলছেন, এই রণ হুঙ্কার ফেলে দেওয়ার মতো নয়। তাঁর কথায়, 'বিজেপির রণ হুঙ্কার ফাঁপা নয়। ওরা অনেকদিন ধরেই বলত, মন্দির ওহি বনেগা। কবে বানাবে বলত না। এখন সেটা করে দেখিয়ে দিল।'

কলকাতা: শুভেন্দু বলেছিলেন অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গ, তবে হবে বৃত্ত সম্পূর্ণ। অঙ্গ গিয়েছে, কলিঙ্গ গিয়েছে, বাকি পরে রইল বঙ্গ। ছাব্বিশে বাংলা দখলের বার্তা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর এই হুঙ্কার ফেলে দেওয়ার মতো নয় বলেই মনে করছেন সিপিআইএমএম (লিবারেশন)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
বিহারের বামপন্থীদের শোচনীয় অবস্থা। সামান্য হলেও মান বাঁচাতে পেরেছে লিবারেশন। বাংলার বামেদের মতো শূন্যে নেমে আসেনি তাঁরা। পেয়েছে ২টি আসন। নির্বাচনের আগে যা যা অনুমান করেছিল লিবারেশন এখন সবটাই ওলটপালট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি দীপঙ্করের। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচন নিয়ে যা যা অনুমান ছিল সব বদলে গিয়েছে। আর আমি মনে করি, এখানে এসআইআর-এর একটা প্রভাব রয়েছে। এত বড় একটা অপারেশন। তার প্রভাব নির্বাচনে পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে মানুষ ভোটও দিয়েছে। না হলে বিহারে এত ভোট পড়ে না। এসআইআর যে রাজ্যে হবে সেখানে নাম কাটা যাবে। দুর্বল শ্রেণির মানুষের উপর বেশি প্রভাব পড়বে।’
বিহারের নির্বাচনে এনডিএ-র জয় জয়কার। উৎফুল্ল হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। আর এই বিহার জয়ের পর বাংলা থেকেও ‘জঙ্গলরাজ’ সরাবেন বলে দাবি করেন তিনি। একই হুঁশিয়ারি বাংলার গেরুয়া নেতাদেরও। অঙ্গ-কলিঙ্গের পর বঙ্গ দখলের বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। দীপঙ্কর বলছেন, এই রণ হুঙ্কার ফেলে দেওয়ার মতো নয়। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির রণ হুঙ্কার ফাঁপা নয়। ওরা অনেকদিন ধরেই বলত, মন্দির ওহি বনেগা। কবে বানাবে বলত না। এখন সেটা করে দেখিয়ে দিল। তাই ওঁদের এই হুঙ্কার ফেলে দেওয়ার নয়। ওরা সবটাই দখল করতে চায়।’
তবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তিরও পথ রয়েছে বলে দাবি লিবারেশন নেতার। বামপন্থার পুনর্জন্ম ঘটাতে হবে। সেটাই তৃতীয় শক্তি। আর বাম নেতার কথায়, ‘বাংলায় একটা তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব দ্রুত দরকার। না হলে এই অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গকে ঠেকানো যাবে না। বাংলার চরিত্র একটু অন্যরকম। তাই এখানে ব্য়াপারটা আপাতত থিতু রয়েছে। কিন্তু এই লড়াইটা যদি শুধুই তৃণমূল বনাম বিজেপি থেকে যায়, কোনও তৃতীয় শক্তি উঠে আসতে না পারে, তা হলে বিজেপির জয়ের সম্ভবনা বাড়তে থাকবে।’
