কলকাতা: ঠাকুরপুকুরে (Thakurpukur) পরিচারিকার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দানা বাঁধছে রহস্য। যে বাড়িতে প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য নামে বছর তেত্রিশের ওই মহিলা কাজ করতেন সেই বাড়ির কর্তা গোপাল বিশ্বাসকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ির শৌচাগার থেকেই ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। কী করে মৃত্যু হল তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তদন্তে নেমেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। মহিলার বাড়িতে স্বামী ছাড়াও দুই কন্যা সন্তানও রয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা মাম্পি অধিকারী বলেন, “বিয়ের পর থেকে ওর শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার হত। লাগাতার অত্যাচার চলত। কিন্তু, ও ভাল মেয়ে বলে থেকে গিয়েছিল। ওর বর ওকে মদ খাওয়া ধরিয়েছে। ওর বর যে ওকে মারত, সেটা আমাদের প্রায় বলত, দেখাত মারের চিহ্ন। ওর বর ওকে খেতে দিচ্ছে না বলে ও লোকের বাড়িতে কাজ করছে। এটাই সবাইকে ও বলত। ওর বরের পাশাপাশি মেয়েরাও ওকে মারত। ও যাতে নায্য বিচার পায় সেটা আমরা চাই। তাই ওর স্বামীর বিরুদ্ধেই আমাদের মূল অভিযোগ। ওর স্বামীর জন্যই আজ ওর এই অবস্থা হয়েছে। স্বামীর জন্যই আজকে ওকে বাইরে কাজ করতে হত।”
এলাকার আর এক বাসিন্দা মমতা ঠাকুর বলেন, “শুনেছি ওর বর ওকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারপর কোথায় ছিল, কী হয়েছে আমরা জানি না। রাতভর ও নিখোঁজ ছিল। ওর বর তারপরেও কেন খুঁজল না এটাই বুঝতে পারছি না।” অন্যদিকে স্বামী প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “ও রোজ মদ খেত। কাল আমি ঘরে শুয়েছিলাম। তখন আমার মানিব্যাগ থেকে হাজার টাকা চুরি করে আমার দুই মেয়েকে একশো টাকা করে দিয়ে দেয়। বাকি টাকা নিজের কাছে রাখে। এটা জানতে পেরে আমি ওকে দু’টো থাপ্পড় মেরেছিলাম। তারপর ও আর বাড়িতে ছিল না। রাতে ভেবেছিলাম ফিরে আসবে। খুঁজেও ছিলাম। পাইনি। তারপর তো এখন সব জানতে পেরেছি। ও যে লোকের বাড়ি কাজ করত সেটা বলেছিল। ভোরে যার বাড়িতে কাজ করত তিনি এসে আমাকে ডাকেন। উনি বলেন বাথরুমে আমার স্ত্রী পড়ে গিয়েছে। রাতে উনি মদ খেয়েছিলেন তাই আসতে পারেননি। সকালে এসেছেন।”