
কলকাতা: আলমারির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার দেহ। সেই ঘটনায় এবার নয়া মোড়। তিলোত্তমাকাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের দিদির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের। সঞ্জয়ের ভাগ্নির মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ ঠাকুমার। এই ঘটনায় রুজু হয়েছে মামলা।
এখানে উল্লেখ্য, আলিপুর থানার অন্তর্গত বিদ্যাসাগর কলোনীর বাসিন্দা ছিল ওই নাবালিকা। তাঁরই অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়েছিল। নিজের ঘরেই আলমারির মধ্যে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। ঘরের দরজা খুলে মেয়ের দেহ উদ্ধার করেন সৎ মা। এরপরই তড়িঘড়ি কিশোরীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। কিন্তু দিন পেরতেই সোমবার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে জানা যায়, সঞ্জয় রায়ের বড় দিদির মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ের দেখাশোনা করতেন খোদ সঞ্জয়ের ছোট দিদি। পরবর্তীতে নিজের জামাই বাবুর সঙ্গেই বিয়ে করেন তিনি। হয়ে যান ওই নিহত নাবালিকার সৎ মা। নিহতের ঠাকুমা জানিয়েছেন, কিশোরীর আসল মাও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এবার একই ভাবে মৃত্যু মেয়েরও।
প্রথম থেকেই সেই ঘটনায় খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছিল। এরপর মৃত নাবালিকার ঠাকুমা প্রতিমা সিং তাঁর ছেলে ভোলা সিং ও সৎ মা প্রতিমা সিংয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আলিপুর থানার পুলিশ গোটা মামলার তদন্ত করে খতিয়ে দেখছে। যে সময় কিশোরীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে সেই সময় তাঁর সৎ মা ও বাবার বিরুদ্ধেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন এলাকাবাসী। তাঁরা মারধরও করেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, “নাবালিকার উপর অত্য়াচার করা হত। রাত দু’টোর সময় ওঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল।”